প্রচ্ছদ সারাদেশ রংপুর বিভাগ পীরগঞ্জে এক সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার উপস্থিতি-১ শিক্ষার্থী-১২

পীরগঞ্জে এক সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার উপস্থিতি-১ শিক্ষার্থী-১২

বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ( রংপুর) ঃ শিক্ষা জীবনের মুল ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা । যেখানে প্রতিটি শিশুর কেটে যায় প্রাথমিক জীবনের ৯ থেকে ১০ টি বছর । তাই শিশুদের পরবর্তি ক্যারিয়ার গঠন ও শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অতীব গুরত্বপুর্ণ । কিন্তু বর্তমানে দেশের প্রাথমিক এ শিক্ষা নিযে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন । অনেকে এ শিক্ষার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও অনেকে দ্বিমত প্রকাশ করেন । অনেকের মতে পাবলিক পরীক্ষা গুলো যে ভাবে চলছে, তাতে পাশের হার বাড়লেও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রত্যাশিত মেধার বিকাশ ঘটছে না ।
এমনি জল্পনা কল্পনার মাঝেও কেমন চলছে পীরগঞ্জের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো ? পেশাগত দায়িত্বে এর বাস্তবতা জানতে ৫ মার্চ মঙ্গলবার /২০১৯ গিয়েছিলাম রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের “ সিঙ্গারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ” । যখন বিদ্যালয়ে পৌঁছি তখন ঘড়িতে সময় সকাল ১০ টা ৩৭ মিনিট । বিদ্যালয়ে পৌঁছিই লক্ষ্য করলাম গুটি কয়েক শিক্ষার্থী মাঠে খেলছে । এগুলাম অফিস কক্ষের দিকে । দৃষ্টিতে পড়ল একজন শিক্ষিকা । সালাম দিয়ে অফিসে প্রবেশ করলাম । তিনি বসতে বললেন । বসলাম । বিদ্যালয়টি স¤পর্কে উক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে কিছুক্ষন কথা হল । জানতে পারলাম উক্ত শিক্ষিকার নাম রাফিকুন্নাহার বেগম । বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকের পদ সংখ্যা ৫ । প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুস মিয়া কিছুক্ষন আগে বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে পীরগঞ্জ উপজেলা সদওে গেছেন । শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বিদ্যালয়ে এসে কোথায় যেন চলে গেছেন । শিক্ষিকা লতা পারভীন ১৩ ফেব্রয়ারী বদলী জনিত কারনে চেতনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন । নুতন কেউ তার স্থলাভিসিক্ত হয়নি । শিক্ষক রায়হান কবির গত জানুয়ারীতে ১ বছরের জন্য ডিপিএন্ড প্রশিক্ষনে গেছেন । সর্বপরি আমি যখন বিদ্যালয়টিতে ২০ মিনিট অবস্থান করছিলাম বিদ্যালয়টিতে শুধু মাত্র ১ জন শিক্ষিকার উপস্থিতি ছিল ।
শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে জানতে পারলাম ততক্ষনে এ দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নির্ধারন হয়নি । ৪ মার্চ বিদ্যালয় বন্ধ ছিল । তাই পুর্ব দিন ৩ মার্চের তথ্যানুযায়ী বিদ্যালয়টিতে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ শ্রেণী মোট শিক্ষার্থী ১৭৮ জন । এর মধ্যে সেদিন ৮২ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল । অনুপস্থিতির ব্যাপারে উক্ত শিক্ষিকা জানালেন, এলাকায় ফসলের জমি থেকে আলু উঠানো হচ্ছে । তাই শিক্ষার্থী কম । এছাড়া বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোন বিনোদন কিংবা ক্রীড়া সরঞ্জামাদী । ফলে শিক্ষার্থীরা এ সব থেকে বঞ্চিত রয়েছে ।
বিদ্যালয়টি পরিত্যাগের পুর্ব মুহুর্তে শিক্ষার্থীদের ছবি উঠানো আগ্রহ প্রকাশ করলে বিদ্যালয়টিতে উপস্থিত শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের একত্রিত করেন । এ সময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখলাম ১২ জন । ছবি উঠানো শেষে ১০ টা ৫২ মিনিটে উক্ত বিদ্যালয় ত্যাগ করি ।