প্রচ্ছদ সারাদেশ রাজশাহী বিভাগ পাবনায় আ’লীগের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিহত ২ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

পাবনায় আ’লীগের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিহত ২ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভাঁড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ ও সুলতান খাঁ গ্রুপের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজন সুলতান গ্রুপের সমর্থক। সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, সুলতান খাঁর বাবা উপজেলার ভাউডাঙ্গা আওরঙ্গবাদ গ্রামের মৃত গয়ের খাঁর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা লস্কর খাঁ (৬৫) এবং একই গ্রামের আহেদ আলী শেখের ছেলে মালেক শেখ (৪৫)।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ ও জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সুলতান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সোমবার সন্ধ্যায় আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকায় সুলতানের বাড়ির সামনে সাইদ গ্রুপের লোকজন সুলতানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা লস্কর খাঁ মালেক ও শেখ নামের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত দুই নারী পিয়া খাতুন (৩৫) ও হালিমা খাতুন (৫০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আহত আরো কয়েকজন পুলিশী ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা লস্কর খাঁর ছেলে সুলতান খাঁ জানান, আমি ভাড়ারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীর ছেলে ভাড়ারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য কয়েকবার হামলা করে। সে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও বালুর মহল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে। এই হত্যাকান্ড তারই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একটি অংশ। আমি আমার পিতার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সুলতান গ্রুপ এ সব কর্মকান্ড করছে।

এদিকে, এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান এই সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করে করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারা হামলার সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।