প্রচ্ছদ সারাদেশ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, কাউন্টার ভাংচুর

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, কাউন্টার ভাংচুর

মানিকগঞ্জ : 
ঈদে ঘরমুখো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে অবশেষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফেরি ঘাটের পাঁচ নম্বর কাউন্টার ভাংচুর করেছে প্রাইভেটকারের চালক ও যাত্রীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি। তিনি জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

জানা গেছে, করোনা সংক্রামন ঠেকাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্য সব যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখেছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। যাত্রী পারাপারও বন্ধ রয়েছে পুরোপুরিভাবে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফেরি ঘাটের পাঁচ নম্বর কাউন্টার ভাংচুর করেছে প্রাইভেটকারের চালক ও যাত্রীরা।

সোমবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। ঘাটমুখী যাত্রী বহনকারী সব ধরনের যান ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। তবে সাটুরিয়া এবং সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ঘাটে যাচ্ছেন অনেক চালক। এছাড়া একইভাবে মোটরসাইকেল এবং অটোরিকশায় করেও ঘাট এলাকায় যাচ্ছেন অনেকে।
এসব বিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহনের ঘাট এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। মহাসড়কে পুলিশের টহল চলমান। যাত্রী নিয়ে আসা সব যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক হয়ে ঘাট এলাকায় কিছু যানবাহন যাচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় ১৫টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য পাঁচ/সাতটি ফেরি চলাচল করছে। সকালে প্রাইভেটকার ও যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিলে চালক ও যাত্রীরা মিলে ঘাট এলাকার পাঁচ নম্বর কাউন্টার ভাংচুর করেন।

ফেরি বন্ধের ফলে ঘাটে আসা সাধারণ কয়েকশত যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দুই শতাধিক প্রাইভেটকার ও তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।