প্রচ্ছদ হেড লাইন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী মানুষের ঢল, মানুষ বোঝাই পিকআপ ঢুকছে ঢাকায়

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী মানুষের ঢল, মানুষ বোঝাই পিকআপ ঢুকছে ঢাকায়

করোনা পরস্থিতিরি কারণে সাধারণ ছুটির মধ্যইে পাটুরয়িা-দৌলতদয়িা নৌরুট দিয়ে ঢাকামুখী মানুষরে ঢল নেমেছে। শনবিার (৪ এপ্রলি) সকাল থেকেই অতরিক্তি যাত্রী নিয়ে পারাপার করে ফেরিগুলো।
৫ এপ্রলি থেেক গার্মেন্টস খোলার কথা থাকায় রাজধানীতে ফিরছেন তারা। অনেকটা আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়েই ফিরতে হচ্ছে বলে জানান রাজধানীমুখী মানুষ।
বিআইডব্লউিটিিস জানায়, সরকারি নির্দেশে ৬টি ফেরি দিয়ে চলছে যাত্রী পারাপার, যাদের বেশির ভাগই তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
এদিকে পোশাক কারখানার ঢাকাগামী শ্রমিকরা ঢাকা আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের অভাবে যে যার মত করে রিক্সা ভ্যান, পিকআপে করে জিবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এতে করে তাদের দ্বিগুন ভাড়াও গুনতে হচ্ছে।
গাড়ির কোনো শব্দ না পাওয়া গেলেও কিছুক্ষণ পরপর পাওয়া যাচ্ছে ট্রাক বা পিকআপের শব্দ। আর এসব যানে পণ্য নয় আসছে মানুষ। একই পিকআপে বা ট্রাকের পেছনে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরছেন শ্রমিকরা।
পিকআপে করে গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় ফিরছেন নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, করোনার ভয়ে ছুটি পাওয়ার সাথে সাথে গ্রামে গিয়েছি। আজ থেকে ছুটি শেষ হয়েছে। আগামীকাল কারখানা খুলে দেবে। কারখানায় উপস্থিত না হলে কারখানা থেকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে সুপারভাইজার ফোন দিয়েছিলো তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও চাকরি বাঁচানোর জন্য ঢাকায় ফিরলাম। তবে গাড়ি বন্ধ থাকায় আসতে খুব কষ্ট হলো। পিকআপে গাদাগাদির মধ্যেই আসতে হলো। কারখানায় উপস্থিত না হলে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে জানান শ্রমিকেরা
আরেক শ্রমিক বিউটি বললেন, আমরা যেখানেই যাই কোনো নিরাপত্তা নাই। সবখানেই ঝুঁকি। কারখানায় কাজ করতেও ঝুঁকি, বাড়ি ও ঢাকায় ফিরতেও ঝুঁকিতে থাকি আমরা। আমাদের জীবনটাই ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে কাটে। এরকম ঝুঁকি নিতে আমরা অভ্যস্ত। তার পরেও ঝুঁকি এড়াতেই মূলত বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ আর ছুটি বাড়াবে না। তাই ফিরে আসলাম।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বলেন, শ্রমিকদের বাসায় থাকার জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছিলো। যারা গ্রাম ভ্রমণ করেছে তাদের সঙ্গরোধ করে কাজ করানো উচিত। ভ্রমণ করা শ্রমিকেরা সবাই এক ফ্লোরে কাজ করলে ঝুঁকি কমতে পারে।