প্রচ্ছদ জাতীয় পর্নোগ্রাফি বন্ধে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

পর্নোগ্রাফি বন্ধে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

একজনের সৃজনশীল লেখা সহজেই অন্যজন কপিরাইট করে নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন। এতে প্রকৃত লেখক, শিল্পী ও মেধাবীরা মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। অন্যদিকে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। তাই কপিরাইট লঙ্ঘন ও পর্নোগ্রাফি রোধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বাদশ বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কপিরাইট লঙ্ঘন ও পর্নোগ্রাফি রোধকল্পে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে এবং উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমির অবকাঠামো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মমতাজ বেগম, কাজী কেরামত আলী, অসীম কুমার উকিল এবং সুবর্ণা মুস্তাফা অংশ নেন।

বৈঠকে বাংলা ভাষার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভাষায় এবং বিশ্বের অন্যান্য ভাষার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষায় অনুবাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সম্ভাবনা ও করণীয়; বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য অন্তর্ভুক্তিকরণে মন্ত্রণালয়/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা এবং বাংলা ভাষার শব্দ বানানে কী কী আদর্শ রীতি অনুসরণ করা হয়। এছাড়া, একই শব্দের বানান বার বার পরিবর্তনে যে বিভ্রান্তি দেখা যায় সে প্রেক্ষিতে বাংলা একাডেমির করণীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়।

করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন শিল্পীরা যাতে তাদের প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখতে পারেন সে বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য সকল সংসদ-সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসককে লিখিত আকারে অবহিত করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। বাংলা ভাষার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভাষায় এবং বিশ্বের অন্যান্য ভাষার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষায় অনুবাদের ক্ষেত্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অনুবাদকের মাধ্যমে সম্পন্ন করার সুপারিশ করে কমিটি।

বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।