মানিকগঞ্জ :
পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ফেরি ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৭টি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন অনেকেই। নদীতে পানি বৃদ্ধি, ঝড়ো বাতাসে প্রচন্ড ঢেউয়ের কারণে গত কয়েকদিন ধরে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ব্যপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।এদিকে বুধবার বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদিক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদেরকে। এদিকে আরিচা বন্দর বাজার, পুরাতন ট্রাক টার্মিনাল এবং নিহালপুর-তেওতা রাস্তার পশ্চিম পাশ দিয়েও ব্যপক আকারে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ না করলে এসব এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, অন্যান্য বছর নদীতে পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় নদীর পার এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। এবার বর্ষা শুরু হবার আগেই নদীতে হঠাৎ করে পানি বাড়ছে এবং দ্’ুদিন ঝড়ো বাতাসের কারণে পদ্মায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে নদীতে গড়ে ৩ ফুট করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসময় পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের হাই ও মিড ওয়াটার লেবের অগ্রভাগের নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দু’দিনে প্রায় ২৫ ফিট এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পাটুরিয়া ঘাটের ৩,৪,৫ নং ফেরি ঘাটের হাই ও মিড ওয়াটার লেবের অগ্রভাগ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় সম্পূর্ণ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় রবিন শিকদার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পাটুরিয়া ঘাটের কাছে নদী ভাঙ্গছে। বেশ কিছু দিন আগে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় এসে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্ত ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না। এভাবে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে পাটুরিয়া ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হবে বলে তিনি জানান।
এব্যপারে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান বলেন, গত দু/তিন দিন ঝড়ো বাতাসে প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে পাটুরিয়া ৩, ৪ ও ৫ নং ফেরি ঘাটের মাথায় বা অগ্রভাগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাটুরিয়া ঘাটের ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় আজ বুধবার ( ২৭ মে) থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্ফিংয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়েছে । পরিবেশ ভাল থাকলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
