প্রচ্ছদ হেড লাইন পদ্মাসেতুর সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান

পদ্মাসেতুর সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

পদ্মাসেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের উপর ৩০তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো ৪ হাজার ৫০০ মিটার। বাকি থাকল আরো ১১টি স্প্যান।   

আজ শনিবার সকালে ৩০তম স্প্যানটি বসানো হয়।  এর আগে চলতি মাসেই ৪ই মে পদ্মা সেতুতে বসানো হয় ২৯তম স্প্যান। এর ২৬ দিনের মাথায় ৩০তম স্প্যানটি বসানো হয়। আরও ১১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে বাকি ১ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার সেতু দৃশ্যমান হবে।

ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল থেকে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে আর ১১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে।

শনিবার (৩০ মে) ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারে স্প্যান বসানো শেষ হয়। এই দুইটি পিলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে পড়েছে। 

এর আগে, শুক্রবার (২৯ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন বহন করে রওনা দেয়। নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় দুপুর ১টার দিকে। 

জানা যায়, আগামী বছরের জুনে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ হয়নি পদ্মাসেতুর। কিন্তু গতি কমেছিল। করোনার প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে স্প্যান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে না আসায় কাজ বেশি বিলম্ব হচ্ছে। এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে চীন থেকে যে দু’টি স্প্যান দেশে আসার কথা ছিল, সেগুলো এখনো আসেনি। চীনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শেষ চালান পথিমধ্যে।

 এদিকে, এবারের ঈদে কোনো শ্রমিক ও প্রকৌশলী ছুটি নেননি। সেতুর কাজের গতিকে সচল রাখতে কর্মস্থলে থেকেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা সেতু প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছেন, যেখানে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।