প্রচ্ছদ রাজনীতি নুসরাত হত্যায় তেঁতুলতত্ত্ব দায়ী: ইনু

নুসরাত হত্যায় তেঁতুলতত্ত্ব দায়ী: ইনু

জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ড আবারও প্রমাণ করলো ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের জন্য আসলে তেঁতুলতত্ত্ব দায়ী। তেঁতুল তত্ত্বের মালিকরা একাত্তরে নারীর গায়ে হাত দিয়েছিল। এই তেঁতুল তত্ত্বের লোকেরাই আজকে নারীর গায়ে হাত দিয়েছে। নুসরাতকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘অনলাইন সাংবাদিকতা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘আন্দোলন ৭১ ডটকম’ এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাসানুল হক ইনু বলেন,  গণমাধ্যমের আগের চ্যালেঞ্জ ছিল এইসব ধর্ম ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও স্বৈরাচারের দালালেরা। তাদের অস্ত্র ছিল মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি, হলুদ সাংবাদিকতা। সুতরাং এই মিথ্যাচার, ইতিহাস বিকৃতি ও হলুদ সাংবাদিকতা থেকে দেশকে রক্ষা করাই এখন গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ। গণমাধ্যমের আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, তেঁতুল তত্ত্বের সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলা করা। ডিজিটাল সমাজের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করা।

অনলাইন ও আইপিটিভিকে প্রাতিষ্ঠানিক আওতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা করার পর অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এটা নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হলে তখন কেউ সাড়া দেয়নি। এটা দুঃখজনক।

সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রতিষ্ঠায় তথ্য কমিশন গঠন শেখ হাসিনা সরকারের একটি বড় অর্জন। এই তথ্য অধিকার আইনটা প্রয়োগ করা নিয়েও গণমাধ্যমের কোনও মাথা ব্যথা নেই। খুবই দুঃখজনক ব্যাপার হলো, প্রত্যেকটি উপজেলায় তথ্য কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে কেউ সেই সুযোগটা নেয় না। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত রাখতে বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু করেছে। এই যাত্রায় নিত্যসঙ্গী হিসেবে গণমাধ্যমকে শরিক করেছে। সেই জন্য তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. গোলাম রহমান, সাবেক হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুস শহীদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।