নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মঙ্গলবার (১৪ মে ২০১৯) দেশটির শীর্ষস্থানীয় রেডিও স্টেশন নিউজটক জেবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
রেডিও স্টেশনটির ক্যান্টারবারি মর্নিংসের হোস্ট ক্রিস লিনচের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ঘৃণ্য বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এটি বন্ধ হওয়া উচিত।
তিনি প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে যেকোনো একটি মুসলিম কমিউনিটি পরিদর্শন করে তাদের প্রতি তার সংহতি জানান।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, আজকের ক্রাইস্টচার্চ পরিদর্শন ছিল শোক ও সমবেদনা প্রকাশ, যা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে অনেক বেশিকিছু।
তিনি বলেন, আমি মনে করি হামলার পর এই সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া খুবই চমৎকার ছিল। নিউজিল্যান্ডের মানুষের মতো তারা ক্ষমাশীলতা, সহিষ্ণুতা ও সরলতা দেখিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্বেতাঙ্গ শেষ্ঠত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর মূল অনুসন্ধান করা প্রয়োজন আমাদের। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার ঘৃণ্য বক্তব্য নয়, সম্পূর্ণ কৌশল নিয়েও প্রশ্ন আছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ ঘৃণ্য বক্তব্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি ‘বৈশ্বিক কৌশল’ গ্রহণ করেছে। এর নেতৃত্বে থাকবেন ইউএন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে অ্যান্তোনিও গুতেরেসের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা অ্যাদামা দিয়েং।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে আল নূর এবং লিনউড মসজিদে পরপর হামলা করেন ব্রেনটন ট্যারেন্ট নামের এক ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক।
এই হামলায় ৫০ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হন। হামলার ৩৬ মিনিট পর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় স্থানীয় পুলিশ।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এটাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন। পরে তিনি দেশটির সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনে বলেন, মসজিদে হামলাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
হামলাকারী অনেক কিছু ভাবতে পারেন কিন্তু কুখ্যাতি ছাড়া তিনি কিছুই পাননি। আমি কখনোই তার নাম মুখে নেবো না বলেও উল্লেখ করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।