প্রচ্ছদ আইন আদালত দেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে অংশগ্রহণকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা

দেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে অংশগ্রহণকারীরাও মুক্তিযোদ্ধা

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে দেশের সীমানার বাইরে না গিয়ে দেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া ও অংশগ্রহণকারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন।

রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আহসান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদুল হক ও বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নূরুল।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ আহসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে যারা দেশের বাইরে যাননি, দেশে থেকে প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তাদের ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনের সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি তাদের অধিকার, সৌজন্যতা নয় বলে রায়ে এসেছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রিট আবেদনকারীর ২৬ নামের তালিকা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত টাঙ্গাইলের জেলা কমিটি উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে সখীপুর উপজেলার ২৯৫ জনের নাম সুপারিশ করে ২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়ায় ২০১৬ সালে ২৬ জন হাইকোর্টে রিট করেন। তারা সবাই কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

রিটের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের নামের গেজেট কেন প্রকাশ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। এর আগে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এতে দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে- উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে রিট আবেদনকারীপক্ষ সম্পূরক আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১৯ সালে রুল দেন। রুলে দেশে প্রশিক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ওই সংজ্ঞায় কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

সোমবার উভয় রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত।