প্রচ্ছদ হেড লাইন দূর্নীতির দায়ে ‘আইনের আওতায় আসবে আরও ২০ এমপি’

দূর্নীতির দায়ে ‘আইনের আওতায় আসবে আরও ২০ এমপি’

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে আরও ২০ সংসদ সদস্যকে (এমপি) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান। বুধবার ( ১১ নভেম্বর) সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, পাপুল ও সেলিনাসহ সাবেক ও বর্তমান ২২ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে ১১ জন বর্তমান এবং ১০ জন সাবেক সংসদ সদস্য। দুদকের অনুসন্ধানে থাকা সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১০ জন, বিএনপির পাঁচজন এবং অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র থেকে ছয়জন এমপি রয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের তিন এমপির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।

এদের সবার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, খাসজমি দখল, ঘুষগ্রহণ, কমিশন নেওয়া ও চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম ‍ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কশিমন (দুদক) কমিশনার মোজাম্মেল হক খান জানান, অনুসন্ধানে থাকা অন্যান্য এমপিদের বিষয়েও আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেটিও যথাসময়ে আমরা রেজাল্ট দিতে পারব। আমরা কোনো কাজে থেমে নেই। আমরা মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী চেষ্টা করি যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আইনের সম্মুখীন করা হবে। এই ব্যাপারে কোনো বিলম্ব হবে না। শিগগির তা করা হবে।

এদিকে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ আর ১৪৮ কোটি টাকার অর্থপাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১১ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সূত্র জানায়, পাপুলের শ্যালিকার ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর এই অবৈধ লেনদেন পাওয়ায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনে মামলার অনুমোদন দেয়।

এ ছাড়া পাপুলসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।

দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা করা হয়। পরে তা থেকে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলতি বছরের জুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন।