প্রচ্ছদ রাজনীতি তারেকের একক সিদ্ধান্তে জ্যেষ্ঠ নেতাদের অসন্তোষ, দলে গণতন্ত্র নেই

তারেকের একক সিদ্ধান্তে জ্যেষ্ঠ নেতাদের অসন্তোষ, দলে গণতন্ত্র নেই

শপথ প্রশ্নে তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতারা। সংসদে যাওয়ার এই হঠাৎ নির্দেশকে অস্বস্তিকর বলে তাদের মত, আপোষের রাজনীতিতে দল আরো পিছিয়ে পড়বে। আর বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, গঠনতন্ত্রের ক্ষমতাবলে সিনিয়র নেতাদের উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বিএনপি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির ছয় সদস্যে সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে প্রায় অনড় ছিল বিএনপি। তবে শপথের সময় শেষ হওয়ার ঘণ্টা-খানেক আগে পাল্টে যায়, কয়েক দফা বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত। একক সিদ্ধান্তে বিজয়ীদের শপথের নির্দেশনা দেন তারেক রহমান। বিষয়টি অন্যরা জানতেন না দাবি করে, কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, শপথ ইস্যুতে বিএনপির নীতি সঠিক ছিল না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, শপথ নেয়া উচিত হয়নি, এ সিদ্ধান্ত তারেক রহমানের, আমরা কিছুই জানিনা, সকালে এক কথা-বিকেলে আরেক কথা, চালাকির কথা বলে আপোষকামিতার রাজনীতি করলে বিএনপি আরো পিছিয়ে পরবে।

তবে এ ধারাবাহিকতায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেয়ায়, দলের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে বলছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ সিদ্ধান্ত তারেক রহমান সর্বসম্মতভাবে নিলে এ সমস্যা দেখা দিত না বলেও মত তার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন বিব্রতকর অবস্থায় আছি, কেউ শপথ নিলো, কেউ নিলো না কিছুই জানিনা। যদি সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতো, তবে একই সুরে আমরা কথা বলতে পারতাম।

বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, তারেকের এই একক সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে দলটিতে এখন গণতন্ত্র নেই। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, তারেক একা নীতি-নির্ধারক হলে দলের জন্য ক্ষতি হবে, সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। বিএনপির ঘুরে দাঁড়াতে তরুণ নেতৃত্ব ও যৌথ সিদ্ধান্তে দল পরিচালনায় গুরুত্ব দিচ্ছেন নীতিনির্ধারকেরা।