প্রচ্ছদ জাতীয় তরুণ শিক্ষার্থীরাই সমাজ পরিবর্তনের দূত : স্পিকার

তরুণ শিক্ষার্থীরাই সমাজ পরিবর্তনের দূত : স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তরুণ শিক্ষার্থীরাই সমাজ পরিবর্তনের দূত। তরুণরাই ইতিবাচক পরির্তন এনে গড়ে তুলবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। উদ্ভাবনী কৌশল এবং গবেষণাকর্মের মাধ্যমে বিশ্বকে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান বিশ্বের প্রত্যেক নাগরিক তথ্য-প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত।

তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হতে আহ্বান জানান তিনি।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ দ্রুত অগ্রসরমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তৃণমূলে সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করছে সরকার। রপ্তানি আয়, রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ হবে।

স্পিকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞানকেন্দ্র। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে সহনশীল পর্যায়ে খরচের মধ্যে পড়ার সুযোগ দিতে হবে।

মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষায়িত শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন স্পিকার। শিক্ষার্থীদেরকে গুণগত উচ্চশিক্ষা দেওয়ায় ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের জন্য ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের বিষয়টি অনুসরণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মহাসড়কে অবস্থান করছে। অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজতর করতে নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছে, যা নতুন প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং ইউল্যাবের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. কাজী আনিস আহমেদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ বছরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কেক কেটে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।