প্রচ্ছদ শিক্ষাঙ্গন ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নীল দল ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল অংশ নিয়েছে।নির্বাচন কমিশনার ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, এবারের নির্বাচনে ভোটার ২ হাজার ১০ জন।আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল নীল দলের সভাপতি পদে এবারের প্রার্থী হলেন শিক্ষক সমিতির দুই বারের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী সাদা দল থেকে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন সংগঠনটির সাবেক আহ্বায়ক ও মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।নীল দলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষকদের সার্বিক উন্নয়নে আমরা কাজ করেছি। তরুণ শিক্ষকদের বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বহুমাত্রিক উদ্যোগের ফলে শিক্ষকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি নীল দলের প্রতি শিক্ষকদের এক ধরনের পজিটিভ ধারণা রয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ। সবকিছুকে মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকরা অতীত অর্জনকে বিবেচনায় নিয়ে নীল দলকে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী করবে বলে আশা রাখি।’এদিকে, বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল ‘সাদা দল’ কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে লাঞ্ছিত শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানো, রাজউকে বিশেষ ব্যবস্থায় প্লট বরাদ্দ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।সাদা দলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান বলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা আদায়ের জন্য কাজ করব। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের উন্নত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার জন্য কাজ করবো।’উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আসছে নীল দল।

নীল দলের প্রার্থী

সভাপতি পদে আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সহ-সভাপতি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. ইমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।সদস্য গণিত বিভাগের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জিনাত হুদা, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, লেদার অ্যান্ড টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আফতাব আলী শেখ, ক্রিমিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুদ্দিন ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে।

সাদা দলের প্রার্থী

সভাপতি পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক মো. আসলাম হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মার্কেটিং বিভাগ অধ্যাপক এবিএম শহিদুল ইসলাম।সদস্য প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়ারুল কবীর, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, পালি ও বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মাদ নাজমুল আহসান, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগের মো. ইসরাফিল প্রামাণিক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী বিভাগের অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান।