প্রচ্ছদ হেড লাইন ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক রেখে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিল পাস

ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক রেখে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিল পাস

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড ও ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল- ২০০০’ এর প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে পাস করা হয়। তবে বৈষম্যের প্রেক্ষাপটে ‘ধর্ষিতা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ রাখা হয়েছে বিলটিতে। মূল আইনের ৯ (২) ধারাসহ কয়েক জায়গায় ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দটি বসছে।

গত ৮ নভেম্বর সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। গত সোমবার প্রতিবেদন সংসদে উত্থাপন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।

সম্প্রতি সারাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লে আইন মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। তবে ওই সময় সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংশোধিত আইন কার্যকর করতে ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০০০’ জারি করেন। পরে ৮ নভেম্বর নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাদেশটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই দিন সেটি বিল আকারে সংসদে তোলা হয়।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারায় বলা ছিল, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন। এখন কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে।