প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ ঝুঁকি জেনেও চলছে মার্কেট খোলার প্রস্তুতি

ঝুঁকি জেনেও চলছে মার্কেট খোলার প্রস্তুতি

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

সময় তখন দুপুর দেড়টা। রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সরকারি ঘোষণায় এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আগামীকাল রোববার (১০ মে) থেকে এ মার্কেট খুলবে।

তারই প্রস্তুতি হিসেবে মার্কেটে স্ব স্ব দোকানপাট ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা চলছে। চলছে পণ্য সামগ্রী সাজানো। পাশাপাশি ক্রেতারা এলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে কিভাবে মার্কেটে ঢুকতে দেয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করছিলেন ওই ব্যবসায়ীরা।

আজিজ সুপার মার্কেটের সিকিউরিটি ইনচার্জ পরিচয়ে এক ব্যক্তি জানান, এ মার্কেটে পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে এ মার্কেট খোলা থাকবে।

তিনি জানান, করোনাভাই’রাসের সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ’মূলক ব্যবস্থা হিসেবে মার্কেটে প্রবেশের আগে ক্রেতাদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। আগত ক্রেতাদের জ্বর মাপার জন্য মেশিন থাকবে। থাকবে পার্কিংয়ের গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থাও।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শুধু আজিজ সুপার মার্কেট নয়, আগামীকাল থেকে দোকান খোলার প্রস্তুতিতে আজ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের আরও কিছু মার্কেটের ব্য’বসায়ীরা।

সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, বাটা সিগনাল ও শাহবাগসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক দোকানপাট খোলার প্রস্তুতি চলছে। কিছু কিছু দোকান আজ থেকেই খুলে গেছে। খোলা দেখা যায় ঢাকা কলেজের সামনে বাটার বড় শোরুমটিও।

সায়েন্স ল্যাবরেটরির সামনে প্রিয়াঙ্গন শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা আজ দোকান না খুললেও আগামীকাল থেকে খুলবেন বলে জানান। সাইন্স ল্যাবরেটরির ওভারব্রিজের পাশেই পাঞ্জাবির বেশ কয়েকটি দোকান খোলা দেখা যায়। এলিফ্যান্ট রোডের বেশ কয়েকটি নামিদামি ব্র্যান্ডের দোকানেও ১০ মে থেকে খোলার প্রস্তুতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দেখা যায়।

তবে কেউ কেউ প্রস্তুত থাকলেও এখন পর্যন্ত মার্কেট কমিটি থেকে দোকান খোলার ব্যাপারে চূ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাননি বলে জানান। অনেকে জানান, মার্কেট খোলা থাকবে কি-না সে বিষয়ে আজ রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে মার্কেট কমিটি। সেজন্য তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে দোকানপাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় দোকানপাট ও শপিংমল খোলার সিদ্ধান্ত জা’নিয়ে গত সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আগামী ১০ মে থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা যাবে। তবে তা বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

সরকারের এ ঘোষণার পর দেশের অন্যতম সেরা দুটি শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রমজান মাসে শপিংমল দুটি খোলা হবে না। পরে একই সিদ্ধান্ত জানায় নিউমার্কেট, মৌচাক ও আনারকলি, গুলিস্তান-ফুলবাড়ি’য়ার সব পাই’কারি মার্কেট।

তবে দোকান মালিক সমি’তির পক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়, কেউ চাইলে ব’ন্ধও রাখতে পারেন, কেউ চাইলে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট বা দোকানপাট খুলতেও পারেন।