প্রচ্ছদ হেড লাইন জন্মশতবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় মহানায়ককে স্মরণ

জন্মশতবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় মহানায়ককে স্মরণ

জন্মশতবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। মঙ্গলবার নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে তার শততম জন্মদিন। করোনা ঝুঁকির কারণে সীমিত পরিসরে আতশবাজির মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে মুজিববর্ষের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে উচ্চারিত হয়েছে তার স্বপ্নের দেশ গড়ার প্রত্যয়। বড় কোনো জমায়েত কর্মসূচি ছাড়া নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে। মঙ্গলবার ঝমকালো আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে মুজিব বর্ষের কর্মসূচির উদ্বোধনের প্রস্তুতি ছিল। বিশ্বব্যাপি করোনা ঝুঁকি ছড়িয়ে পড়ায় রাত আটটায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতির ঝিল ও জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আতশবাজির মাধ্যমে মুজিব বর্ষের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের ওপর দিয়ে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোর লাল-সবুজ আবির ছড়িয়ে মনোজ্ঞ প্রদর্শনী করে।

হেলিকপ্টারগুলোতে জাতীয় পতাকা এবং মুজিববর্ষের লোগো খচিত ছিল। পরে সমাধি প্রাঙ্গণে মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল হয়। সকালে ধানমন্ডির ৩২নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অন্যন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে হয় প্রার্থনা অনুষ্ঠান। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে সীমিত পরিসরে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের কর্মসূচি পালিত হয়।

বর্ণিল আতশবাজি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিব বর্ষের উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল রাত আটটায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম ক্ষণে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতির ঝিল ও জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বর্ণিল আতশবাজি, লেজার শো ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এসব কর্মসূচিতে ফুটিয়ে তোলা হয় জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা খন্ডচিত্র। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মুক্তির মহানায়ক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় মুজিব বর্ষের। আতশবাজির পর গাওয়া হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত। পরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেকর্ড করা ভাষণ প্রচার করা হয়। প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ মাটির নতুন প্রজন্মের মধ্যে সাহসী ও ত্যাগী নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করাই হোক মুজিববর্ষে সকলের অঙ্গীকার। প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব, এ প্রত্যাশা করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। এজন্য তাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপস করেননি। তিনি বলেন, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচাসহ তার উপর লিখিত গ্রন্থ অধ্যয়ন করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে জাতিগঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। জন্মশতবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজন যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের জন্য দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান তিনি।

দেশবাসীকে মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তবে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করবো। একই কারণে বিদেশি অতিথিবৃন্দের সফর স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকেই মানুষের দুঃখ-কষ্টে ব্যথিত হতেন জাতির পিতা। অকাতরে বিলিয়ে দিতেন তাঁর জামাকাপড়, বই, ছাতা। যার যখন যা প্রয়োজন মনে করতেন, তাকে নিজের জিনিষ দিয়ে দিতেন। নিজের খাবারও তিনি ভাগ করে খেতেন। দুর্ভিক্ষের সময় গোলার ধান বিলিয়ে দিতেন। মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যেই তিনি আনন্দ পেতেন। নিজের জীবনের কোনও চাওয়া পাওয়া ছিল না। বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত, সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার সে ত্যাগ বৃথা যায়নি। আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। গড়তে হবে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আজকের শিশু-কিশোর, তরুণ সমাজের কাছে আমার আবেদন-তোমরা দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালবাসবে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে তোমাদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। ঠিক যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে ভালোবেসেছিলেন, সেভাবেই ভালোবাসতে হবে। তাঁর আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আজ জেগে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ সত্যের অন্বেষণে। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় তোমার জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশকে বিশ্ব চিনে নিয়েছে তোমার ত্যাগের মহিমায়। পিতা, তোমার কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই। আর সেদিন বেশি দূরে নয়। তুমি ঘুমিয়ে আছ টুঙ্গিপাড়ার সবুজ ছায়াঘেরা মাটিতে পিতা মাতার কোলের কাছে। তুমি ঘুমাও পিতা শান্তিতে। তোমার বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা জেগে রইবো তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে। জেগে থাকবে এদেশের মানুষ-প্রজন্মের পর প্রজন্ম-তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে। তোমার দেয়া পতাকা সমুন্নত থাকবে চিরদিন।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রচার করা হয়। মোদি মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের মহাসচিব, ওআইসি মহাসচিবসহ বিশ্ব নেতারা।

ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা: গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জনতার ঢল নামে। সকাল ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল অভিবাদন জানায়। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মোজাফ্‌ফর হোসেন পল্টু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ও আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপুমনি, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেলক হক ও মির্জা আজমসহ দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৬টা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে জমায়েত হতে থাকেন। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘মুজিবের বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই’ ‘আজকের এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে’ ‘লাল সবুজের পতাকায় মুজিব তোমায় দেখা যায়।’ এসব স্লোগানে এলাকার পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ বঙ্গববন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা শ্রমিক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছসেবক লীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিৃকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

ষড়যন্ত্রকারীরা রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে : ওবায়দুল কাদের
যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে, তারা রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নস্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তরের পরে যারা জাতির পিতার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের নাম একদিন মুছে যাবে। তারা আজ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। আরও এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এসে আমরা নতুন করে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা কায়েম করবই। দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলে মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা আজ নতুন করে শপথ নিচ্ছি-উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার।