প্রচ্ছদ সারাদেশ চালা ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

চালা ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

হরিরামপুর সংবাদদাতা :

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত থাকার জন্য বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরণেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ১লা এপ্রিল বুধবার চালা ইউনিয়নের ৬১ জন জেলের মাঝে এ কর্মসূচির আওতায় চাল প্রদান করা হয়। প্রত্যেকের নামে ৮০ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও তা বিতরণে অনিয়ম পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ১৪ জন সুবিধাভোগী জেলের সাথে কথা বললে তারা জানান, তাদের মধ্যে ৪ জন ৮০ কেজি, ২ জন ৬০ কেজি, ৪ জন ৭৫ কেজি, ১ জন ৩৮ কেজি, ১ জন ৪০ কেজি, ১ জন ৩০ কেজি এবং আরেকজন ২৬ কেজি চাল পেয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে ৫০ টাকা নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম বিশ্বাস (শিরু) বলেন, আমি চাল বিতরণ করিনি। চাল উত্তোলন ও বিতরণের জন্য আমি ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব প্রদান করেছিলাম।

৩নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘আমি চাল বিতরণ করিনি। আমি চাল গোডাউন থেকে উত্তোলন করে পরিষদে এনে চেয়ারম্যান, অন্যান্য সদস্য ও ট্যাগ অফিসারকে বুঝিয়ে দিয়েছি।১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মোশারফ হোসেন ও ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রায়হান চাল বিতরণ করেছে।’

৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রায়হানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকে টাকা নিয়ে নিউজ না করার প্রস্তাব দেন।

ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নকশাকার (উপ সহকারী প্রকৌশলী) মো. মোমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে সাংবাদিক পরিচয়ে পেয়েই তিনি কল টি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ‘বিষয়টির দায়ভার সম্পুর্ণ ট্যাগ অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যানের। কারণ আমার একার পক্ষে তো আর প্রত্যেক টি যায়গাতে যাওয়া সম্ভব না। তাই এইকাজে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয় দেখাশোনা করার জন্য, এবং ত্রাণ বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তাই এই দায়ভার তাদেরই নিতে হবে। এছাড়া আমার কাছে অভিযোগ দিলে সেক্ষেত্রে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’