প্রচ্ছদ সারাদেশ গুলিস্থানে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত মানিকগঞ্জের বাবুলের দাফন সম্পন্ন

গুলিস্থানে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত মানিকগঞ্জের বাবুলের দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :

গুলিস্থানের সিদ্দিক বাজারে ভয়াবহু বিস্ফোরণের ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরলেন মানিকগঞ্জের ওবায়দুল হাসান বাবুল। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যসহ নিজ গ্রামে নেমে এসেছে শোকের মাতম।

ওবায়দুল হাসান বাবুল ওরফে বাবুল মোল্লা (৫৫)। তিনি পৌর এলাকার চর বেউথা গ্রামের মৃত শেখ মো.সাহেব আলীর ছেলে। সে ২৫ বছর ধরে ঢাকায় প্রেস প্রেন্টিং সাপলাইয়ের কাজ করতেন। বাবুলই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাকে হারিয়ে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

বুধবার (৮ মার্চ) সকাল ৯ টায় তাকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় চরবেউথা সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে ভোরের দিকে বাবুলের লাশ বাড়িতে আনা হয়। এসময় বাবুলের বাড়িতে এলাকাবাসী ও স্বজনদের ভীড় জমে। বাড়ির আঙ্গিনায় খাটিয়ায় মরদেহ ঘিরে স্ত্রী নাজমা বেগম, তিন সন্তান আর স্বজনদের আহাজারিতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আকম্মিক এই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।

স্বজনরা জানান, বাবুলের ১ ছেলে ২ মেয়ে। বড় মেয়ে মরিয়ম ও ছোট মেয়ে মারিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান পড়াশুনা করছে সিদ্দিকীয়া দরবার শরিফ মাদরাসায় । এলাকার মানুষ তাকে একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে চিনেন।

বাবুলের বন্ধু আবুল বাশার জানান, গুলিস্থানের সিদ্দিক বাজারের ওই ভবনের নিচ তলায় তার বিসমিল্লাহ স্যানেটারি নামে একটি দোকান আছে। কাজের ফাকে বাবুল মাঝে মধ্যে এসে আড্ডা দিতো। টাঙ্গাইলে সবেবরাত উপলক্ষে মানিকগঞ্জ সিদ্দিকীয়া দরবার শরিফের পীর ডক্টর মো. মঞ্জুরুল ইসলামের ওয়াজ মাহফিল ছিলো। তারা ১০ বন্ধু মিলে ওই ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেওয়ার কথা ছিলো। ট্টেনের টিকিট ছিলো নিহত বাবুলের কাছে। মঙ্গলবার বিকালে বাবুল তার দোকানে আসলে যাওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছিল। বাবুলকে দোকানে বসিয়ে রেখে তিনি ওয়াশরুমে যায়। এসময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিচ তলা ধ্বসে পড়ে, চারদিক লন্ডভন্ড। ফিরে এসে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে বন্ধু বাবুলকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ছুটে আসেন স্বজনরাও। ধ্বংস্তপে চাপা পড়ে বাবুলের একটি হাত ও মরদেহ বিকৃত হয়ে যায়। তার পড়নের জুব্বা ও তসবি দেখে লাশ সনাক্ত করা হয়।

স্বজনরা বিষ্ফোরণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।