প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ গণপরিবহন চালুর দাবি করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ

গণপরিবহন চালুর দাবি করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ

 

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করার দাবি জানিয়েছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। গণপরিবহন চলাচলের জন্য তাদের পক্ষ থেকে ১১টি সুপারিশমালাও দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১১ মে) সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুদ্দীন চৌধুরী জানান, জীবনের সাথে জীবিকাও দরকার। এ দুটোকে সমন্বয় করতে গেলে গণপরিবহন চালু করার কোনও বিকল্প নেই। জীবিকার প্রয়োজনেই একটু একটু করে সবই চালু করতে হবে। তবে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪০ সিটের গণপরিবহনে ২০ সিট পরিপূর্ণ করে এক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী বহন করলে ও গাড়িতে ওঠার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা এবং প্রতি টিপ শেষে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার করলে করোনার সংক্রমণ থেকে যাত্রীদের রক্ষা করা সম্ভব। সেই সাথে গণপরিহনের সাথে জড়িত ৭০ লাখ শ্রমিকদেরও রুটি-রুজি অব্যাহত থাকবে।

যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে যেসব  সুপারিশমালা দেয়া হয়েছে তা হলো- বাস স্টপেজ ও রেলস্টেশনে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য স্টেশনে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার রাখা। যাত্রীদের চলাচলের স্থানগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখা।বাস স্টপেজ ও রেল স্টেশনগুলোতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা।

যাত্রীদের অপেক্ষা করার স্থান, বাস কম্পার্টমেন্ট ও অন্যান্য এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা। যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারে সচেতন করা। সিট কভারগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা। যাত্রীদের অনলাইনে টিকিট কেনার পরামর্শ দেয়া।এছাড়া গণপরিবহনের উঠা ও নামার সময় শারীরিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য যাত্রীদের সচেতন করাও কথা বলা হয়েছে। আবার গণপরিবহনের চালক-শ্রমিক ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, পিপিই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

যাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতন করার জন্য পত্রিকা, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিতে হবে। পরিবহনের ধারণক্ষমতা সীমিত করে যাত্রী নিয়ন্ত্রণ ও যথাসম্ভব যাত্রীদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে। ফেরি বা নৌ-টার্মিনাল এবং নৌযানগুলোকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।