প্রচ্ছদ রাজনীতি ‘গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ঝুঁকি নিতে হয়, আমাদেরও নিতে হবে’

‘গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ঝুঁকি নিতে হয়, আমাদেরও নিতে হবে’

‘বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র চেয়েছিলেন। অথচ আমাদের এখানে এখন গণতন্ত্র নেই। স্বাধীনতার পরিবর্তে আমরা স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নিয়েছি। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিতে হয়, আমাদের ঝুঁকি নিতে হবে।’

আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি ৭২, অকথিত ঘটনাবলী’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধান লঙ্ঘন করা মানে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা। বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র চেয়েছিলেন। অথচ আমাদের এখানে এখন গণতন্ত্র নেই। স্বাধীনতার পরিবর্তে আমরা স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নিয়েছি। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিতে হয়, আমাদের ঝুঁকি নিতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে ড. কামাল বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশকে স্বাধীন করে জনগণকে দেশের মালিকানা হিসেবে রেখে গেছেন। তার স্বাক্ষরিত দলিলে লেখা আছে- এই দেশের মালিক জনগণ। আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো অসাধারণ নেতৃত্ব পেয়েছিলাম বলেই আজ স্বাধীনতা পেয়েছি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে লেখা আছে- দেশের মালিক জনগণ। স্বাধীন দেশে স্বৈরাচার থাকার কোনো অধিকার নেই। এই দেশের প্রতিটি জনগণ যেন তার মৌলিক অধিকার পালন করতে পারে সে কথা বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন।

ড. কামাল আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) কখনো অন্যায়ের ব্যাপারে আপস করেননি। বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরিত সেই দলিল বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রাখা আছে। প্রত্যেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এই দলিল দেখানো উচিত। এই স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ যদি গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধুর কথা অমান্য করা হবে।’