প্রচ্ছদ ধর্ম খতমে তারাবি নিয়ে ৫ লাখের বেশি হাফেজ দুশ্চিন্তায়

খতমে তারাবি নিয়ে ৫ লাখের বেশি হাফেজ দুশ্চিন্তায়

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

শাবান মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর  বাংলাদেশে রমজান শুরু হবে ২৫ এপ্রিল অথবা ২৬ এপ্রিল। অন্যান্য বছর এই সময়ের মাঝে প্রতি মসজিদেই খতমে তারাবির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এবার তারাবি হবে কি হবে না সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

রমজানে মুসলমানরা এশার নামাজের পর বিতরের আগে অতিরিক্ত ২০ রাকাত নামাজ পড়ে থাকেন। যেটিকে তারাবির নামাজ বলা হয়। তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি কুরআন খতম করে বা ছোট ছোট সূরা দিয়ে পড়া যায়।ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা খতমে তারাবিতে অংশ নেয়ার জন্য মসজিদগুলোতে ভিড় করেন। কিন্তু এবার অনেক দেশেই মসজিদে খতমে তারাবি হবে না। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক দেশে মসজিদে নামাজ পড়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধ করা না হলেও শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য দিনে মসজিদে সর্বোচ্চ ৫ জনের নামাজ পড়ার সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে।রমজান মাসে গুরুত্বের সঙ্গে খতমে তারাবি পড়া হয়, মসজিদগুলো মুখরিত হয় কুরআন তেলাওয়াতের সুরে। হাফেজরা কুরআন খতম করেন তারাবির নামাজে। হাফেজদের তেলাওয়াতে মুগ্ধ হয় সাধারণ মুসল্লি। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক হাফেজ বিদেশেও যান তারাবির নামাজের ইমামতি করতে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার ৩৯৯টি। এসব মসজিদের প্রায় সবগুলোতেই খতমে তারাবি হয়। সে হিসেবে প্রায় ৫ লাখের বেশি হাফেজ খতমে তারাবিতে ইমামতি করেন।এদিকে সৌদি আরবসহ অনেক দেশ এবার তারাবির নামাজ মসজিদে হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মসজিদের পরিবর্তে নিজ নিজ বাড়িতে তারাবির নামাজ পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এসব দেশে।বিশ্বের আরও কিছু দেশে মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনা এবং গণজমায়েত বন্ধ রেখেছে। সে কারণে এসব দেশেও এবার মসজিদে তারাবি পড়ার সুযোগ নাও হতে পারে।এসব কারণে দেশের লাখ লাখ হাফেজ বেশ চিন্তিত। চিন্তাটা অর্থনৈতিক কারণে নয়, কুরআন তেলাওয়াত করতে না পারার কারণে। তারপরও আমরা মনে করি, যেসব মসজিদে ইতোপূর্বে খতমে তারাবির আয়োজন হতো, ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষ হাফেজদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবেন। যেন নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হলে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করতে পারেন।