প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ক্ষমতা ছাড়ছি না: নেতানিয়াহু

ক্ষমতা ছাড়ছি না: নেতানিয়াহু

ঘুষগ্রহণ, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের একাধিক অভিযোগ সত্ত্বেও ক্ষমতা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সেই সঙ্গে বরাবরের মতোই ঘুষ ও দুর্নীতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা’ চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ নেতানিয়াহুর। খবর রয়টার্স, আলজাজিরা ও এএফপির।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাব। আইন মতে, আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য নই।’

বৃহস্পতিবার তিন মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ঘোষণা দেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই মেন্ডেলব্লিট। মামলা তিনটি কেস ৪০০০, কেস ২০০০ ও কেস ১০০০ নামে পরিচিত। ইসরাইলের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতাসীন কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হল।

এর আগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতির মামলায় কয়েক মাসের তদন্তের পর গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করে পুলিশ। গত এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট করে সরকার গঠনেও বারবার ব্যর্থ হয়েছেন নেতানিয়াহু।

এই রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই দীর্ঘদিনের এই শাসকের বিচারের ঘোষণা দিল আইন বিভাগ। এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলো নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা কোনো বামপন্থী বা ডানপন্থী রাজনীতির ব্যাপার নয়। এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগও ইচ্ছাধীন কোনো বিষয় নয়।’

অ্যাটর্নি জেনালের আরও বলেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিস্তৃত প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে পরিচালনা করা হয়েছে। সবকিছুই পেশাদারভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কোনো প্রচেষ্টা বাদ রাখা হয়নি।

নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কর্তৃপক্ষ আসলে সত্য উদঘাটনে ইচ্ছুক নয়, তারা আমার পেছনে লেগেছে।

তবে অভিযোগ গঠনকে সমর্থন জানিয়েছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কাহল লাভান গান্টেজ। বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল নেতৃত্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে তার।

তিনি আরও বলেন, ইসরাইলে কোনো সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হচ্ছে না। এখানে ক্ষমতার পরিখা খনন করা হচ্ছে।

নেতানিয়াহু আজ প্রমাণ করেছেন যে, তাকে তার পদ ছাড়তে হবে। নিজের আইনি দুর্দশার দিকে নজর দিতে হবে।

কেস ১০০০ নামের প্রথম তদন্তে বলা হয়, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার নিয়েছিলেন।

তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার মূল্যের উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেছেন নেতানিয়াহু।

কেস ২০০০ নামে দ্বিতীয় তদন্তে বলা হয়, তেল আবিবের একটি পত্রিকার প্রকাশক আরনোন মোজেসকে ঘুষ দিয়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের চেষ্টা করেছেন তিনি।