প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক কেরালায় বন্যায় নিহত ৩২৪, পরিস্থিতি পরিদর্শনে মোদি

কেরালায় বন্যায় নিহত ৩২৪, পরিস্থিতি পরিদর্শনে মোদি

ভারতের কেরালা অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধ্বসে এখন পর্যন্ত ৩২৪ জন নিহত হয়েছেন। টানা ভারী বর্ষণে এই অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন কেরালা। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গতকালই কেরালা পৌঁছেছেন মোদি। আজ শনিবার সকালে কোচি পৌঁছন। সেখানে এলাকা পরিদর্শন করবেন। সঙ্গে থাকবেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারকাই বিজয়ন সহ পদস্থ অধিকারিকরা। কেরালা পৌঁছানোর আগে এক টুইটে মোদি জানান, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারকাই বিজয়নের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। উদ্ধারকাজ পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

বন্যায় রাজ্যজুড়ে এখন পর্যন্ত বাস্ত্যুচুত হয়েছেন ২ লাখ মানুষ। আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত সেখানে নৌবাহিনীর ৪২টি, সেনার ১৬টি, উপকূল রক্ষীবাহিনীর ২৮টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩৯টি দল উদ্ধার কাজে নিযুক্ত রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আসন্ন দিনগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। রাজ্যে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। এছাড়া আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রায় প্রতি বছরই বর্ষায় বন্যার সম্মুখীন হয় ভারত। তবে এবারের পরিস্থিতি বেশ মারাত্মক। এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১০০০ মানুষ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের কর্মকর্তা পিএইচ কুরিয়ান এএফপি’কে বলেন, আমরা উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করতে আরো নৌকা ও সেনা সদস্য মোতায়েন করবো। বর্তমানে হেলিকপ্টারে করে বিভিন্ন এলাকায় জরুরী ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে ও বিশেষ ট্রেন ব্যবহার করে বিভিন্ন অংশে খাবার পানি পাঠানো হচ্ছে।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারকাই বিজয়ন বলেন, গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন কেরালা।

বর্তমানে ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ ১৫০০’র বেশি জরুরি ত্রাণ শিবিরে অবস্থান করছে। পানির নিচে ডুবে গেছে কেরালার বাণিজ্যিক রাজধানী কোচিনের অনেকাংশ। অচল হয়ে পড়েছে সড়ক ব্যবস্থা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্কুল। কিছু জেলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। -বিবিসি ও এনডিটিভি