প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ কাদের সিদ্দিকী ও রবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাসিম

কাদের সিদ্দিকী ও রবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাসিম

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কাছে ফিরে আসতে কাদের সিদ্দিকী এবং আ স ম আবদুর রবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম। তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হিসেবে গণ্য করেই এই আহবান জানান নাসিম।

ডিসেম্বরের প্রথম দিনে রাজধানীর শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

মোহামদ নাসিম বলেন, এখনও সময় আছে কাদের সিদ্দিকী-রব সাহেবরা জামায়াত বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কে শেষ করে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষে আসেন। কী কারণে আপনারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সঙ্গে জোট করেছেন? শুধুমাত্র এমপি হওয়ার জন্য!

আপনারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন, নিজেরাও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাই আপনাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কাছে ফিরে আসার আহ্বান জানাবো।

এসময় বিএনপির সমালোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের লড়াই হবে চূড়ান্ত লড়াই। তারা (বিএনপি) বলেছিলো শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে আসবে না। এখন বিএনপি-জামায়াত নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করছে। এখন বলছেন আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে! তাদের বলে রাখতে চাই আওয়ামী লীগ কখনও পরাজিত হয় না৷ এবার ভোটের বিপ্লব হবে, ইনশাল্লাহ্। এমন বিপ্লব করবো বিএনপিকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে ১৪ দলের এ মুখপাত্র বলেন, এখনও সময় আছে জামায়াতকে ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আসেন। নাহলে এমন সময় আসবে মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারবেন না। মেসি গোল মিস করতে পারে-নেইমার গোল মিস করতে পারে কিন্তু শেখ হাসিনা গোল মিস করবে না।

যে সকল নির্বাচনী আসনে বিএনপি থেকে জামায়াত এবং যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যদের ধানের শীষে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সে সকল জায়গায় ১৪ দলের পক্ষ থেকে বিজয় মঞ্চ করা হবে বলে জানান নাসিম। আগামী এক মাস গ্রামে গঞ্জে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশে বহু দিবস আছে। এমনকি হাত ধোঁয়া দিবস পর্যন্ত আছে। পহেলা ডিসেম্বর আমরা মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করার জন্য বহু বছর ধরে বলে আসছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে আমাদের স্মরণ করতে পারে এজন্য ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের জন্য আমরা বারবার বলে আসছি।

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা বিশ্বাস করি, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে বাংলাদেশে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। আমরা তা সংসদে পাস করেছিলাম। এখন আমরা জাতীয় ভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করি। আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস পালনের জন্য আপনি কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আপনাকে আহ্বান জানাবো, আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা আজকে জীবিত আছি এবং আমরা যখন থাকবো না, তখনও যেন মানুষ মুক্তিযোদ্ধা দিবসের মাধ্যমে আমাদের স্মরণ করতে পারে।’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপির জামায়াতি রাজনীতিকে ড. কামালরা দেশেই শুধু না বিদেশেও জায়েজ করে দিতে চাইছে। আজকের দিনে ওই ষড়যন্ত্রর বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।