প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ করোনা ভাইরাস : প্রাথমিকে ‘অটোপাসের’ কথা ভাবছে সরকার

করোনা ভাইরাস : প্রাথমিকে ‘অটোপাসের’ কথা ভাবছে সরকার

 

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

করোনাভাইরাসের কারণে যদি স্কুল খোলা সম্ভব না হয় তাহলে অটোপাস বা মূল্যায়ন ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেয়ার কথা ভাবছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশ্য এজন্য সিদ্ধান্ত নিতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় মন্ত্রণালয়।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন বলেন, স্কুল খোলা না গেলে তো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। আর স্কুল খোলা না গেলে কোনো মূল্যায়নও হবে না।

‘স্কুল খোলা না গেলে আমরা কী মূল্যায়ন করব? স্কুল খোলা না গেলে কোনো মূল্যায়ন হবে না।’ যোগ করেন তিনি।

সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম জানান, অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে যদি স্কুল খুলে যায়, তাহলে মূল্যায়নের জন্য সরকার দুটি বিষয় বিবেচনায় রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা দুইটা পরিকল্পনা মাথায় রেখেছি। অক্টোবরের জন্য একটা আর নভেম্বরের জন্য একটি। যদি খোলা যায়, তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারব। আর না হলে তো আপনারা বুঝেন…। স্কুল খোলা না গেলে তো বার্ষিক পরীক্ষা হবে না।’

স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে শিক্ষার্থীদের সবাইকে এক শ্রেণি থেকে উপরের শ্রেণিতে ‘অটোপাস’ বা উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়া হয়েছিল। সেই স্মৃতিও স্মরণ করেন সিনিয়র সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আপাতত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই ছুটি রয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় এরপরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, অক্টোবরে স্কুল খুলছে ক্লাস নেয়ার সময় থাকবে ৫৭ দিন আর নভেম্বরে খুললে সময় থাকবে ৪০ দিন। এমনকি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও স্কুল খোলা গেলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।

তবে ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলা না হলে পরীক্ষা বা মূল্যায়নের কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না। সেক্ষেত্রে সবাইকে ‘অটোপাস’ দেয়া হবে বলে ভাবা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তবে রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, অটোপাসের কথা শুনে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা থেকে সরে না যায়, সেজন্য এখনি তারা কোন ঘোষণা দিচ্ছেন না।

কিন্তু বছরের বেশিরভাগ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরীক্ষা দেবে, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলছেন, যেটুকু শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়েছে, তার ভিত্তিতে সীমিত সিলেবাসে পরীক্ষা হতে পারে। কিন্তু সব কিছুই নির্ভর করছে স্কুল খোলা-না খোলার ওপর।

এর আগে আগস্ট মাসের শেষের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে না পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পিইসি। এর পরিবর্তে নিজ নিজ স্কুলে মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।