প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ করোনা ঝুঁকিতে অতিরিক্ত ভাড়া, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

করোনা ঝুঁকিতে অতিরিক্ত ভাড়া, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা এ এদেশের মানুষের ঐতিহ্য। কিছুটা কম হলেও ঈদে বাড়ি ফেরার সেই দৃশ্য করোনা ভয়কে জয় করেছে। এতে করোনা সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ার কথা ছিল। সরকারি নির্দেশমতে, কর্মস্থলেই ঈদ করতে বলা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াতের অনুমতি দেয়ার পর হতে ঈদে বাড়িতে যাবার প্রবণতা বেড়ে গেছে।

পাটুরিয়াতে এসে গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়াতে যাত্রীরা। এ সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কেও গণপরিবহন না থাকায় ঘাটে নেমে ঘরমুখো যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে। এসব যাত্রীরা কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্য যাচ্ছেন।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। কেউ হেঁটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে করে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে ফেরিঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। এসব যাত্রীরা কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গন্তব্য যাচ্ছেন।

শনিবার (২৩ মে) সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো হাজারো যাত্রীর ভিড় দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে থাকে।

ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ফেরি চলাচলে বাধা না থাকায় তারা নদী পার পারছেন। কিন্তু সড়কে গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া অনেক অতিরিক্ত ভাড়া লাগছে। তবে তারা করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেও বাড়িতে আসতে পারছেন এবং সবার সঙ্গে ঈদ করতে পারবেন বলে অনেক খুশি।

সরেজমিনে দেখা যায়, অতিরিক্ত ভাড়া ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই ঈদ করতে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। এ সময় সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন মানুষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ১৩টি ফেরি প্রস্তুত রয়েছে। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় ৬-৮টি ফেরি নিয়মিত চালানো হচ্ছে।

এদিকে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকাগামী যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে খালি ফেরিগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিযোগে নদী পার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।