প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ করোনার কারণে শোলাকিয়ায় হয়নি ঈদের জামাত

করোনার কারণে শোলাকিয়ায় হয়নি ঈদের জামাত

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহে কিশোরগঞ্জে ঈদের জামাত হয়েছে।  প্রায় দুইশ’ বছরের প্রাচীন দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ শোলাকিয়া মাঠে জামাত হয়নি। এবার সেখানে ঈদুল ফিতরের ১৯৩ তম ঈদের জামাতের কথা ছিল।প্রতিবছর এই মাঠে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নেয়।

কিন্তু আজ সোমবার সেখানে ছিল না কোলাহল।  ঈদগাহ পড়ে ছিল শূন্য। শুধু শোলাকিয়ায় নয়, এবার জেলার কোনও খোলা জায়গায় বা ঈদগাহে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়নি।

শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত না হলেও জেলা শহরে ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল  ইসলাম। সোমবার সকাল আটটা ও নয়টায় এ মসজিদে দুটি জামাত হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।

নামাজ শেষে করোনা দুর্যোগ থেকে মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। তাছাড়া মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মোনাজাতে।একইসঙ্গে জেলা শহরের প্রাচীন পাগলা মসজিদে অনুষ্ঠিত তিনটি ঈদ জামাতেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও জেলার সব মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  প্রত্যেকটি মসজিদে একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়।

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন লাখো মানুষ শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করেন।এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা কঠিন বিষয়।  মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত বন্ধ রাখা হয়।

২০০ বছরের ইতিহাসে কোনওদিন কোনও দুর্যোগে বন্ধ থাকেনি শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত। ২০১৬ সালে মাঠের অদূরে জঙ্গি হামলার পরও মুখরিত ছিল শোলাকিয়া। সেদিনও হয়েছে ঈদের জামাত।

জনশ্রুতি রয়েছে, একবার শোলাকিয়া ঈদগাহের প্রথম বড় জামায়াতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন। উচ্চারণ বিবর্তনে সোয়ালাখ থেকে সোয়ালাখিয়া, সেখান থেকে বর্তমান শোলাকিয়া নামটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।