প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ করোনার কারণে কোটি টাকার ইজারার হাটও বাতিল

করোনার কারণে কোটি টাকার ইজারার হাটও বাতিল

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে কয়েক কোটি টাকার ইজারা দেওয়া হাট বন্ধ করে দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। রাজধানীর ভেতরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মেয়র এসব কথা বলেন।আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির আফতাব নগরের হাট এবার বসছে না। যদিও আমরা ওখান থেকে এক কোটির বেশি ইজারা পেয়েছি, তবে এই হাট হবে না। এছাড়া তেজগাঁও সাত রাস্তায় যে হাট বসতো সেটিও বন্ধ থাকবে।এছাড়া উত্তরাবাসীর জন্য বিশেষ করে উত্তর ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নং সেক্টরের মধ্যে একটি বড় হাট ছিল। যেটির ইজারা ছিল প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এটিও এবার বসবে না। তবে উত্তরাবাসীর জন্য ১৭ নং সেক্টরের বিন্দাবন এলাকায় যেখানে বসতি নেই সেখানে হাট থাকবে। তবে গাবতলির স্থায়ী হাটে পশু কেনা বেচা হবে।

মোহাম্মদপুর এলাকার জন্য রায়েরবাজার কবরস্থানের পাশে বছিলা হাট, বাউনিয়াতে বসতে পারে। এছাড়া সাঈদ নগর, কাওলা, ডুমনী, ময়নার টেক ও ভাটারা এলাকায় হাট বসবে। মিরপুরের ভাষানটেক হাট বন্ধ থাকবে, মিরপুর ৬ নং ইস্টার্ণ হাউজিং হাটও বন্ধ থাকবে।

মেয়র হাটে আগতদের উদ্দেশে বলেন, বয়স্করা হাটে আসবেন না। বাচ্চারাও যেন হাটে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি ইজারাদারদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে। হাটে একটি গরু থেকে অন্য গরুর দূরত্ব কমপক্ষে ৫ ফুট রাখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে হাটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেকে বলেছে, যে ঢাকায় যদি সব হাট বন্ধ করে দেন তাহলে আমাদের কি হবে? এটি যেমন বাস্তব সত্য, গ্রামের ওই মানুষগুলো ঈদুল আজহায় গরু বিক্রি করেই জীবন-জীবিক নির্বাহ করে। আবার শহরে ভেতর যদি হাট বসানো হয় এটিও মানুষের স্বাস্থ্যর জন্য করোনার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তাই কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে।

মেয়র বলেন, হাটের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডিএনসিসির একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, এবার ইজারাদারদের অধিক সর্তক থাকতে হবে।

এদিকে কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে মেয়র বলেন, পূর্বের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানি বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এজন্য নগরবাসীর সহায়তা লাগবে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করলে নির্দিষ্ট জায়গায় বর্জ্য ফেললে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দ্রুত সেই বর্জ্য অপসারণ করতে পারবেন।