বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
বিলাসবহুল হোটেলের জন্য সুপরিচিত সিঙ্গাপুর। স্বাভাবিক সময়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে এসব হোটেল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এমন বিলাসবহুল হোটেলে রাখা হয়েছে বিদেশি কর্মীদের। খবর বিবিসি বাংলার।
তেমনই একজন হচ্ছেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশি মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, এই হোটেলে আছি ১০-১২ দিন হয়ে গেলো। এখানে আসার পর আমি তো পুরাই তাজ্জব! জিজ্ঞাসা করলাম যে আমাদের আবার টাকা দিতে হবে নাকি? কারণ হোটেলগুলো খুব ব্যয়বহুল। তারা জানালো যে, না সব টাকা সরকার দেবে। তবে শর্ত হচ্ছে তোমরা যে রুমে থাকবে সেখান থেকে বের হতে পারবে না। তোমাদের যা যা প্রয়োজন তার সবকিছু আমরা তোমাদের রুমে দেবো।সিঙ্গাপুরের অধিকাংশ হোটেল এখন কোয়ারেন্টিন সেন্টারের মতো।
এসব হোটেলের একটি রুমের দৈনিক ভাড়া ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।মারুফ বলেন, এখানে ৭ এপ্রিল থেকে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তখন থেকে সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে সবার বেতন দেয়া হবে। আমরা এপ্রিলের বেতন পেয়েছি, ইনশাআল্লাহ জুনের বেতনও পাবো।সব বিদেশি কর্মীদের সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে এই মহামারির সময়।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরেকজন বাংলাদেশি জসিম উদ্দিন বলেন, এখানে (হোটেলে) আসার আগে আমি অনেক আতঙ্কিত ছিলাম। করোনাভাইরাসে কেউ সংক্রমিত হলে সবার আগে সে আতঙ্কিত হয়ে যায়। কিন্তু এখানে ডাক্তার এবং নার্স আমাদের যেভাবে সেবা যত্ন করছে; যেভাবে আমাদের মানসিক সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছে, সত্যিই এটা অবিশ্বাস্য।
তিনি বলেন, নার্স যারা আছেন তারা আমাদের এড়িয়ে যাচ্ছেন না। তারা সবসময় আমাদের কাছে এসবে আমাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছে।বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সিঙ্গাপুর সরকার। জসিম বলেন, আমাদের চিকিৎসার জন্য যত সরঞ্জাম দরকার, যা কিছু দরকার তা সবই দেয়া হচ্ছে। একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। যেভাবে চিকিৎসা পাচ্ছি এটা হয়তো সিঙ্গাপুরে আছি দেখেই পাচ্ছি।
মারুফ বলেন, আমরা আমাদের নিয়ে চিন্তিত না। কারণ আমরা জানি যদি কভিড-19 পজিটিভ হই, তাহলে সিঙ্গাপুর সরকার আমাদের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা চিন্তিত আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, যারা দেশে আছে।