প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ এবার নিজ দেশের জনগণের ক্ষোভের মুখে ম্যাক্রোঁ

এবার নিজ দেশের জনগণের ক্ষোভের মুখে ম্যাক্রোঁ

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

ইসলাম ধর্ম নিয়ে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে এবার ক্ষোভে ফুঁসছে ফ্রান্সের সাধারণ মানুষও। শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যের ডাক দিলেও খোদ ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে জাতিগত ও ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন তারা। নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চান ম্যাক্রোঁ-এমন অভিযোগ তাদের।

সাধারণ ফরাসিরা বলেছেন, ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির জন্য দায় এড়াতে পারেন না প্রেসিডেন্ট। ম্যাক্রোঁ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ফ্রান্সে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অবনতি হচ্ছিল। তিনি খুবই নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ। ম্যাক্রোঁ ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করছেন। আর এটাই ছিল সবশেষ বিভাজন।

ফ্রান্সের রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে দেশটির সব চার্চ। শিল্প আর সাহিত্যের প্যারিস যেন ভয় আর আতঙ্কের। শুরুটা বির্তকিত রম্য ম্যাগাজিন শার্লি হেব্দোতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশে ঘিরে। সেই আগুনে ঘি ঢেলে বিতর্ক উসকে দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে মুসলিম বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনা আর পণ্য বয়কটে এমনিতেই চাপের মুখে ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এরপর ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক হামলায় সেই চাপ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেশটির এমন পরিস্থিতির জন্য খোদ ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকেই দোষারোপ করছেন ফ্রান্সের সাধারণ মানুষ।

ম্যাক্রোঁর বিরূপ মন্তব্যের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফরাসি পণ্য বয়কটের পাশাপাশি বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মস্কোয় ফরাসি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে কয়েকশ’ মানুষ।

তারা বলেন, ফ্রান্স রাজনৈতিকভাবে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছে। তারা মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে আঘাত করেছে।

‌’এটাই প্রথম না। এর আগেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর কার্টুন প্রকাশ করে ফ্রান্স। তাদের বোঝা উচিত, বাকস্বাধীনতা মানে কারো বিশ্বাস, অনুভূতিকে আঘাত করা নয়।’

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে ক্রেমলিন। এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র বলেছেন, ধর্ম বা বিশ্বাসের অমর্যাদা কিংবা আঘাত দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তেমনি নিরীহ মানুষের ওপর হামলা সমর্থন করে না রাশিয়া।