নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাসহ একই পরিবারের ৭জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বুধবার সকালে সোনারগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এ ঘটনো হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এসময় মা ও মেয়ে তিনজনকে শ্লীলতাহীর অভিযোগ উঠে। হামলার সময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। আহতদের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত সাজেদা বেগম বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের হানিফ মিয়ার জমিতে সোনারগাঁও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাইম আহম্মেদ রিপনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ৬ টাকা ফুট ধরে বালু ভরাট করে। কিন্তু ওই সিন্ডিকেট সম্পূর্ণ বালু ভরাট না করেই ৬ টাকা ৫০ পয়সা ভরাটকৃত বালু দাম র্নিধারণ করে টাকা দাবি করে। সিন্ডিকেটের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করে হানিফ মিয়া অসম্পূর্ণ কাজ করার দাবী জানায়।
টাকা নেওয়ার পর ওই সিন্ডিকেট বাকি কাজ করার জন্য তালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে সিন্ডিকেট ও হানিফ মিয়ার মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে বুধবার সকাল সোনারগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর নাইম আহম্মেদ রিপনের নেতৃত্বে আলম, মুজা, মাহিন, শামীম, মাইনউদ্দিন মেম্বার, জাকির ভূইয়াসহ ১০-১৫ জনের একটি দল দা, লোহার রড, কাঠ ও বাঁশের লাঠি হানিফ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে হানিফ মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা করে।
এসময় তার স্ত্রী সাজেদা বেগম, বোন জামাই বশিরউদ্দিন ও ভাগিনা কাউসার এগিয়ে এলে তাদের পিটিয়ে আহত করে। পরে হানিফ মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শামীমা ও আরেক মেয়ে সালমা এগিয়ে এলে তাদের পিটিয়ে আহত করে। এসময় শামীমা ও সালমার কাপড় চেপড় টেনে হেঁচড়ে শ্লীলতাহানী করে হামলাকারীরা। হামলার সময় বাড়িঘর, দরজা জানালা, সুকেস ও আলমারীর গ্লাস ভাংচুর করে।
সোনারগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর নাইম আহম্মেদ রিপনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তবে অন্যান্যদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।