প্রচ্ছদ হেড লাইন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত হলেন যারা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত হলেন যারা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। নয়া দিগন্তের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ঢাকা বিভাগ
শিবপুর (নরসিংদী)
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ম নারী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফেরদৌসী ইসলাম। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৬ হাজার ৩৮ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।

তিনি নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার স্ত্রী। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ফেরদৌসী ইসলাম শিবপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতিরও দায়িত্বে রয়েছেন।

সদরপুর ও ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫০৮ ভোট।

অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কাওসার ভুইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৮৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৩০ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিঠামইন, ইটনা, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ)
মিঠামইন উপজেলায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের ছোট বোন আলহাজ্ব আছিয়া আলম।

মিঠামইন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ১০ হাজার ৫ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আলহাজ্ব আছিয়া আলম পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল (আনারস) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৬৪ ভোট। এছাড়া ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো: শাহজাহান মিয়া পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৫ ভোট।

এদিকে হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো: জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন (লাঙ্গল)।

তিনি ৭ হাজার ৯৪ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৯ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন লাকী (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট।

২০১৯ সালের ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথমবারের মতো তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মো: জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: আজিজুল হক ভূঞা মোতাহারকে পরাজিত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছিলেন।

এবারের নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন লাকী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ফলে দুটি নির্বাচনে তিনি প্রথমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ও এবার সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মো: জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন তাড়াইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা মরহুম কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া কাঞ্চনের ছেলে।

এদিকে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন (হেলিকপ্টার)। নির্বাচনে তিনি মাত্র ১ হাজার ২৭৬ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯২৪ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল আলম জনি (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৪৮ ভোট।

এ উপজেলায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমজাদ হোসেন খান দিদার (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৭১ ভোট।

এছাড়া কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান রাজু পেয়েছেন ১১ হাজার ২৫৬ ভোট।

করিমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এদিকে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন চৌধুরী কামরুল হাসান। কাপ পিরিচ প্রতীয় নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি টানা তিনবার ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, নির্বাচনে চৌধুরী কামরুল হাসান ১৮ হাজার ২৭৪ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৬৪ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী অ্যাডভোকেট আবুল কাউছার খান মিলকী (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৯০ ভোট। এছাড়া এডভোকেট খলিলুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫২৩ ভোট।

ইটনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এই তিনজনসহ মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগ
সোনাগাজী (ফেনী)
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাখাওয়াতুল হক বিটু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম মার্কার প্রতীক নিয়ে জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন ৮৬ হাজার ১৭১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুর রহমান মানিক লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৭২০ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে শাখাওয়াতুল হক বিটু ৮৩ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আইয়ুব আলী হায়দার উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে তিন হাজার ২০০ ভোট পেয়েছেন। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ ভোট। ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ৪৪ ভাগ।

বাঞ্ছারামপুর ও আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তৃতীয়াবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।

অন্যদিকে আশুগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. জিয়াউল করিম খাঁন সাজু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেসমিন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ফলাফল বেসরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো উপজেলাতেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

উখিয়া (কক্সবাজার)

উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গির কবির চৌধুরী বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গির কবির চৌধুরী শেষ পর্যন্ত আবুল মনসুর চৌধুরীকে ১২ হাজার ৬৬৯ ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেন।

চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে জাহাঙ্গির কবির চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোট ৩৭ হাজার ২০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল মনসুর চৌধুরী পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৩৩ ভোট।

তাছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে শাহীনা আক্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

লংগদু ও নানিয়ারচর (রাঙামাটি)
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে চার হাজার ১৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন।

মোট ২৩টি ভোটকেন্দ্রে আনারস প্রতীকে বাবুল দাশ বাবু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল বারেক সরকার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৮২৬ ভোট।

অন্যদিকে নানিয়ারচর উপজেলার ১৪টি ভোটকেন্দ্রের সবকয়টির ফলাফলে ৬ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের অমর জীবন চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জ্যোতিলাল চাকমা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬২ ভোট।

লক্ষ্মীছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

২৯ মে বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার অনীক চৌধুরী। স্থগিত কেন্দ্রের ফলাফলসহ ঘোষিত ফলাফলে কৈ মাছ প্রতীকের প্রার্থী সুপার জ্যোতি চাকমা ৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারস প্রতীকের সাথোয়াই অং মারমা পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৩ ভোট। মোট প্রদত্ত ভোট ১৫ হাজার ২১৫ ভোট। বাতিল ভোটের সংখ্যা ২৯৭ভোট। ৭১.৪১ ভাগ ভোট পড়েছে।

এদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে রতন বিকাশ চাকমা টিউবওয়েল প্রতীকে ৮ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজেন্দ্র চাকমা চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩২১ ভোট। মোট ভোট কাষ্টিং ১৩ হাজার ৯৩৮ ভোট। বাতিল ভোট ৮৩০। ৬৭.৯৯ ভাগ ভোট পড়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের অয়ক্রইপ্রু মারমা ৮ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনুচিং মারমা পদ্ধফুল প্রতীক পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৮২ ভোট। মোট বৈধ ভোট ১৪ হাজার ২৮৯। বাতিল ভোট ৫৪৯ ভোট। ৬৮.৩১ ভাগ ভোট পড়েছে।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুল্যাতলী ইউনিয়নের দেওয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের যতিন্দ্র পাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

মহালছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় বিমল কান্তি চাকমা কাপ পিরিচ প্রতীক ১০ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংজরী চৌধুরী আনারস প্রীতিকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৫২ ভোট।

ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ।

রাজশাহী বিভাগ

সদর, শাজাহানপুর ও শিবগঞ্জ (বগুড়া)
বগুড়া সদরে জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদর উপজেলার মোট ১৪৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবক’টির ফলাফলে শুভাশীষ পোদ্দার লিটন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৮৫ ভোট। অপর প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান রনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৫৩৬ ভোট। প্রদত্ত ভোটের হার ১৯ দশমিক ৭৪ ভাগ।

শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৭২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪২টির ফলাফলে বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৮৭ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। নিকটতম ভিপি সাজেদুর রহমান শাহীন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩২ ভোট।

শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১০টির ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা ৭৭ হাজার ১২১ ভোট পেয়ে বিজয়ের পথে। তার নিকটতম বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪২৮ ভোট। তবে সরকারিভাবে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি

সিলেট বিভাগ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভানু লাল রায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার প্রাপ্ত ভোট ৪২ হাজার ৬৬৯। তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। তার মার্কা ছিল কাপ-প্লেইট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আছকির মিয়া মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে ভোট পান ৩৬ হাজার ৮৭৬ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু দেব রিটন। তিনি তালা প্রতিক নিয়ে মোট ভোট পান ৫৮ হাজার ৭৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ লিটন আহমেদ টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ভোট পান ২০ হাজার ৯৯২ ভোট।

এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন হাজেরা খাতুন। তিনি হাস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৫০ হাজার ৭৩৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিতালী দত্ত ৩৪ হাজার ৫০১ ভোট পান। বেসরকারিভাবে নির্বাচিত তারা তিন জনই আওয়ামীলীগ ঘরণার।

উল্লেখ্য, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রংপুর বিভাগ

সদর (নীলফামারী)
নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

আবুজার রহমান ৪৮ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দীপক চক্রবর্তী পান ২৭ হাজার ৯৪৬ ভোট।

ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেসরকারি ভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারি রিটানিং অফিসার মেহেদী হাসান।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জ্যোতিময় রায় খোকন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সান্তনা চক্রবর্তী বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর)
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল কুমার সাহা (দোয়াত-কলম)।

ভোট গণণা শেষে চেয়ারম্যান পদে সুনীল কুমার সাহা (দোয়াত কলম) ৩৭ হাজার ৯৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (ঘোড়া) পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৯ ভোট, এছাড়াও অধ্যক্ষ মো: আহসানুল হক মুকুল পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬২৯ ভোট, জ্যোতিশ চন্দ্র রায় (মোটরসাইকেল) ১২ হাজার ৪৭৬ ভোট, মোকাররম হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৬৯ ভোট।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এস এম সাইফুর রহমান বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ১২৬ জন ও মহিলা ১ লাখ ২৮ হাজার ২৬২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। ৯৫টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট শান্তিপুন্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে।