প্রচ্ছদ জাতীয় ঈদগাহে নয় মসজিদে হবে ঈদের জামাত: ধর্ম মন্ত্রণালয়

ঈদগাহে নয় মসজিদে হবে ঈদের জামাত: ধর্ম মন্ত্রণালয়

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঈদের নামাজ ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদে আদায়ের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ অনুরোধ জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশের পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।

মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনা না মানলে আইনগত ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে। 

১. এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

২. ঈদের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান পানি রাখতে হবে।

৫. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৬. মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।

৮. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৯. শিশু, বয়োবৃদ্ধ ও যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

১০. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১১. জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১২. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১৩. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।