প্রচ্ছদ খেলাধুলা আফ্রিকান নেশনস কাপে ‘সহজ’ গ্রুপে সালাহর মিশর

আফ্রিকান নেশনস কাপে ‘সহজ’ গ্রুপে সালাহর মিশর

২১ জুন থেকে শুরু হবে ২০১৯ সালের আফ্রিকান কাপ অব নেশনস। চলবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত আফ্রিকার বিশ্বকাপ খ্যাত এই ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩২ তম আসরটি বসছে মিশরে। দেশটির পিরামিড শহর হিসেবে খ্যাত গিজায় শুক্রবার টুর্নামেন্টের ড্রও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আসরে মোট ২৪টি দলের অংশগ্রহণ করছে।

আগের আসরগুলো জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন হলেও এবারই প্রথম জুন-জুলাইয়ে শুরু হচ্ছে আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স।বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, বছরের মাঝামাঝিতে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করায় ইউরোপে খেলা আফ্রিকান ফুটবলারদের আর ক্লাব থেকে ছুটি নিতে হচ্ছে না। আফ্রিকা মহাদেশের দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত এই আয়োজনের সবচেয়ে সফলতম দল মিশর।

১৯৫৭ সালে প্রথম আসর আয়োজনের পর মোট সাত বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফারাওরা।

এবারের আসরে স্বাগতিকরা খেলছে ‘এ’ গ্রুপে। জিম্বাবুয়ে, কঙ্গো ও উগান্ডা রয়েছে গ্রুপটি।  ২১ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নামবে মোহাম্মদ সালাহ নেতৃত্বাধীন দলটি।  লিভারপুলের এই তারকা ফরোয়ার্ডকে ঘিরে অষ্টমবারের মতো শিরাপো ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছে মিশর ফুটবল দল।

২০১৭ ও ২০১৮ সালে টানা দুই বার আফ্রিকান প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারের পুরস্কার জিতেছেন সালাহ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বর্তমানে অন্যতম সেরা তিনি। তার হাত ধরেই ২৮ বছর পর ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ খেলার সক্ষমতা অর্জন করে মিশরীয়রা।গ্রুপ ‘এ’ তে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পর মিশরের সহকারী কোচ হানি রামঝি।

টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠানে তিনি জানান, কোনো প্রতিপক্ষকেই ছোট করে দেখতে চাননা তারা। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ যেই হোক। নিজেদের সেরাটা দিয়েই জিততে হবে আমাদের।২০১০ সালের পর আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মিশর। রামঝি জানান, শিরোপা পুনুরুদ্ধারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

তিনি বলে, আমরা ফাইনালে গিয়ে শিরোপা জিততে চাই। আর তাই কঠোর পরিশ্রম ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছি না। আমরা আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের মাটিতে সর্মথকরাও আমাদের বাড়তি শক্তি যোগাবে।

আফ্রিকান কাপ অব নেশনস ২০১৯ এর দল সমূহ

গ্রুপ ‘এ’

 মিশর, জিম্বাবুয়ে, কঙ্গো ও উগান্ডা

গ্রুপ ‘বি’

 নাইজেরিয়া, গিনি, মাদাগাসকার, বুরুনডি

গ্রুপ  ‘সি’ 

সেনেগাল, আলজেরিয়া, কেনিয়া, তানজানিয়া

গ্রুপ ‘ডি’ 

মরোক্কো, আইভোরি কোস্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া

গ্রুপ ‘ই’ 

তিউনিসিয়া, মালি, মাউরিটানিয়া, অ্যাঙ্গোলা

গ্রুপ ‘এফ’ 

ক্যামেরুন, ঘানা, বেনিন, গিনি-বিসাউ