প্রচ্ছদ রাজনীতি অসুস্থতা খালেদার বাহানা: শেখ হাসিনা

অসুস্থতা খালেদার বাহানা: শেখ হাসিনা

বিচার এড়াতে অসুস্থতার নামে কোর্টে হাজিরা দিতে না যাওয়াকে খালেদা জিয়ার একটি বাহানা মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি অসুস্থতার ভান করে কোর্টে হাজিরা দেন না। এগুলো তার বাহানা।

কোর্টে হাজিরা দিতে পারবে না, এমন অবস্থা তো তার নয়। আসল কারণ হলো, এফবিআইয়ের লোকেরা বসে আছে সাক্ষী দেওয়ার জন্য। এজন্য তিনি এসব বাহানা সামনে আনছেন।

শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয় আর বিএনপি কি করে? লুটপাট, দুর্নীতি এগুলোই বিএনপির কাজ। না হলে, এতিমের টাকা এভাবে কেউ মেরে খেতে পারে! এতোগুলো টাকা তাও দিতে পারলো না।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের সব ইউনিটের দ্বন্দ্ব নিরসন করে দলের জন্য একতাবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হবে। তারপরও যাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে, তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। অনেকদিন ক্ষমতায় থাকলে যা হয়, মনে হয়- এই একটা নির্বাচন না জিতলে কী হয়, তা করলে হবে না, প্রতিটা আসন গুরুত্বপূর্ণ। সব স্থানেই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করা মানে শুধু নিজের উন্নয়ন করা নয়, দেশ ও দশের জন্য কাজ করাই এই দলের মূল উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু দলকে জন্য সময় দেওয়ার জন্য মন্ত্রীত্ব ছেড়েছিলেন। এই দলের জন্য কাজ করতে হলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।

এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও অশিক্ষিত থাকবে না। না খেয়ে থাকবে না। মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছে, সুফল পেয়েছে। আগামীতেও নৌকায় ভোট পেতে জনগণের দোরগোড়ায় যেতে হবে।

আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচন কঠিন হবে। এই নির্বাচনে জয়ী না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেমে যাবে, দারিদ্রের হার বেড়ে যাবে, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য যেসব কর্মসূচি চলছে তা বন্ধ করে দেবে, উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগেও এরকম হয়েছিল। তাই সব দ্বন্দ্ব নিরসন করে স্থানীয়ভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, মানুষকে বারবার না বললে মানুষ তা মনে রাখে না। তাই উন্নয়নের তথ্যগুলো জনগণের কাছে বারবার তুলে ধরতে হবে।বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তাই মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ক্ষমতা হচ্ছে জনগণের সেবা করার জন্য। মানুষের কল্যাণে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করার জন্য। আমাদের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগকে গণমানুষের সংগঠন দাবি করে শেখ হাসিনা এসময় আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গ্রামের মানুষের সংগঠন। প্রত্যেকটা গ্রামকে আমরা নগর হিসেবে গড়ে তুলে গ্রামের মানুষগুলো যেন নাগরিক সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করবো। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। গ্রামের মানুষ পর্যন্ত এর সুবিধা ভোগ করবে।