প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ অনলাইন ক্লাসে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা

অনলাইন ক্লাসে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা

বিডি রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :
করোনাকালে দীর্ঘ সময় অনলাইন ক্লাসে থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে মানসিক চাপও। আসক্তি বাড়ছে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি, সন্তানদের কিছুটা সময় সৃজনশীল বিভিন্ন কাজ বা ঘরের কাজে যুক্ত রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

আট বছরের ছোট্ট শিশু তথ্য। ৬ মাস আগেও যার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল ল্যাপটপ, মোবাইলের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে। তাকেই এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় কাটাতে হয় এসব গ্যাজেটের সঙ্গে। এর মধ্যে আছে অনলাইনে স্কুলের ক্লাস, আছে কোচিং। এছাড়া এই গ্যাজেট ব্যবহার করেই তাকে তৈরি করতে হয় হোমওয়ার্ক ও অ্যাসাইনমেন্ট।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনলাইনে ক্লাস করার সময় মাথা ব্যথা করে, চোখ ব্যথা করে। সবাই অনেক চিৎকার চেচামেচি করে।

এক অভিভাবক বলেন, ‘জুম ক্লাসে দেখা যায় বাচ্চারা সবাই চিল্লাচিল্লি করে। সেটার কারণে বাচ্চারা অস্থিরবোধ করে।’

একই অবস্থা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুবাইতারও। দিনের লম্বা একটি সময় একাডেমি কাজে মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখার পাশাপাশি কানে লাগিয়ে রাখতে হয় হেডফোন। আর নিয়মিত এসব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারের ফলে ইতোমধ্যে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পড়তে শুরু করেছে কোমলমতি এসব শিশু শিক্ষার্থীদের উপর।

সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া সুবাইতা বলেন, ‘এয়ারফোন কানিয়ে লাগিয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখেও সমস্যা করে আবার মাথাও ব্যথা করে।’

এক অভিভাবক বলেন, ‘অনলাইনের ক্লাসের কারণে বাচ্চারা অনেক খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘক্ষণ এসব ডিভাইস ব্যবহারে রেডিয়েশনের প্রভাবে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাঈদা আনোয়ার বলেন, ‘স্ক্রিনের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখের উপর স্ট্রেস পড়ে। তারপরে কানে শুনতে হয়। কন্টিনিউয়াস একটা এটেনশনে থাকতে হয়। যা বাচ্চাদের জন্য একটা মানসিক প্রেসার।’

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহিত কামাল বলেন, “বাচ্চাদের মানসিক চাপ তৈরি হয়। চাপে পড়লে সে রেগে যাবে, ক্ষেপে যাবে, বিরক্তি হবে। বাবা, মা’র কিন্তু একটাই টার্গেট, বাচ্চাকে পড়াশুনা করতে হবে। সেটাই কিন্তু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাচ্চার আবেগকে বাচ্চা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে ইউনিসেফ । সেই সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।