প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ শিবালয়ের মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

শিবালয়ের মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে চাকরির সুযোগ দেখিয়ে সুকৌশলে শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সদ্য সরকারিকৃত মানিকগঞ্জ জেলা শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে।

তথ্য ওঅনুসন্ধানে দেখা যায় যে, ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি ও এমপিও ভুক্ত চাকরি করা তিনজন শিক্ষক এবং একই কলেজের অনার্সের নিয়োগ পাওয়া শিক্ষককে ডিগ্রির তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিও ভুক্ত করানো এবং পরে আত্তিকৃত শিক্ষক হিসেবে (সরকারি কলেজের শিক্ষক) সরকারি বেনিফিট পাইয়ে দেয়ার মাধ্যমে অধ্যক্ষ অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিরুদ্ধে।

অবৈধ নিয়োগ পাওয়া এসব শিক্ষকদের মধ্যে চিত্ত রঞ্জন দে প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ) যিনি ২০১৩ সালের ৮ই জুলাই তারিখ থেকে ১২ আগস্ট ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত একই উপজেলার তেওতা একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন যার ইনডেক্স নাম্বার ৪৮৭৬৮৪ এবং সেলারি একাউন্ট নং ০২০০০০৪৪২৬৪ অগ্রণী ব্যাংক শাখায় উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত বেতন উত্তোলন করেছেন। এ বিষয়ে একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাতীয়করণ করার পূর্বে কলেজগুলো যাবতীয় নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক বিষয়ে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে,অথচ ১২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে তেওতা একাডেমী থেকে পদত্যাগ করে কিভাবে মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আত্মিকৃত শিক্ষক হলেন,এ বিষয়ে গুঞ্জন রয়েছে কলেজ শিক্ষক মহলে। অনুসন্ধানে দেখা যায় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখে কলেজের প্রভাষক পদে নিয়োগ পান চিত্ত রঞ্জন দে অথচ ২০১৪ সালে নভেম্বর মাসে কলেজের শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে ও তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় যে ২৪ শে এপ্রিল ২০১৯ তারিখে কলেজের সাবেক সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ এবং অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় ৩৫ নং সিরিয়ালের চিত্ত রঞ্জন দে’র নাম উল্লেখ রয়েছে।

বিষয়টি সন্দেহজনক হয় যে কলেজ আত্মিকরণের পূর্বে ২০১৬ সালের ৩০ শে জুন থেকে নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় অথচ ২০১৯ সালের শিক্ষক তালিকায় কোন প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞাপন ছাড়াই চিত্ত রঞ্জনকে কি কিভাবে নিয়োগ দেখানো হয়। এ বিষয়ের আরও উল্লেখ করা যাচ্ছে যে, ৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে এডহক নিয়োগ পেয়ে বিগত এক বছরে বকেয়া সহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন প্রভাষক চিত্ত রঞ্জন দে এবং আরও চার বছরের বকেয়া বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার উত্তোলন প্রক্রিয়া চলছে বলে শিক্ষক মহলে গুঞ্জন রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রভাষক চিত্ত রঞ্জন দে এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য কয়েকবার ফোন দেয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সরকারি নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা পর কিভাবে চিত্ত রঞ্জন দে প্রভাষক হিসেবে সরকারিকরণ অন্তর্ভুক্তি হলেন প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষক মহলে ।

অপরদিকে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক মোঃ রহিজ উদ্দিনকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে নিয়োগ দেখালেও ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের কলেজের শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম দেখা যায়নি।

বিষয়টি উল্লেখ্য যে,৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সাল থেকে ১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত বাগুটিয়া রংদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন মোঃ রহিজ উদ্দিন।

শিক্ষক মহলে গুঞ্জন রয়েছে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে এবং বিসিএস ক্যাডারের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ এর বিরুদ্ধে।

তথ্য ওঅনুসন্ধানে দেখা যায় দেখা যায় ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০১১ সাল থেকে মোঃ রহিজ উদ্দিনকে কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলেও তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালের শিক্ষক তালিকায় মোঃ রহিজ উদ্দিন এর নাম উল্লেখ নেই।

অথচ ২৪ শে জুলাই ২০১৯ সালের প্রস্তুতকৃত শিক্ষক তালিকায় এবং কলেজের তৎকালীন সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এম ফিরোজ মাহমুদ এবং অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় ২৮ নং সিরিয়ালে মোঃ রহিজ উদ্দিন এর নাম উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,২০১৬ সালের ৩০ জুন তারিখ থেকে কলেজের যাবতীয় নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অথচ কোন প্রকার বিজ্ঞাপন ছাড়াই মোঃ রহিজ উদ্দিনকে কিভাবে শিক্ষক হিসেবে তালিকায় নাম দেখালেন প্রশ্ন কলেজের শিক্ষক মহলে।

২০১১ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেলেও ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এর গভর্নিং বডির যৌথ স্বাক্ষরের স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় নাম না থাকা এবং ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের শিক্ষক হাজিরা খাতায় নাম না থাকা শিক্ষক কিভাবে আত্তিকৃত হয়ে বিগত দুই বছরের বকেয়া বাবদ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন এবং আরো তিন বছরের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার উত্তোলণের প্রক্রিয়া রয়েছে।

জনশ্রুতি এবং কলেজ শিক্ষক মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে, ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান।

তথ্য ও বিশ্লেষণে দেখা যায় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে নিয়োগ দেখালেও ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের কলেজের শিক্ষক হাজিরা খাতায় তার নাম দেখা যায়নি।

বিষয়টি উল্লেখ্য যে,মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজে বিগত ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে নিয়োগ দেখালেও প্রভাষক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন তখন নারায়ণগঞ্জের হাজী বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজে এমপিও ভুক্ত প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

উল্লেখ্য ২০১৩ সাল থেকে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী ডিগ্রী কলেজে এমপিও ভুক্ত প্রভাষক হিসেবে চাকরি করছেন ।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামানর পরিদর্শন রিপোর্টে বিষয়টি সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও সরকারিকরণের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এখনো তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ মো: খলিলুর রহমান ।

শিক্ষক মহলে গুঞ্জন রয়েছে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে এবং বিসিএস ক্যাডারের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিরুদ্ধে।

তথ্য ওঅনুসন্ধানে দেখা যায় দেখা যায় ২৬ শে সেপ্টেম্বর ২০১১ সাল থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলেও তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালের শিক্ষক তালিকায় মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনএর নাম উল্লেখ নেই।

অথচ ২৪ শে জুলাই ২০১৯ সালের প্রস্তুতকৃত যৌথ স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় এবং কলেজের তৎকালীন সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এম ফিরোজ মাহমুদ এবং অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় ৩৯ নং সিরিয়ালে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর নাম উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,২০১৬ সালের ৩০ জুন তারিখ থেকে কলেজের যাবতীয় নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অথচ কোন প্রকার বিজ্ঞাপন ছাড়াই মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে কিভাবে শিক্ষক হিসেবে তালিকায় নাম দেখালেন প্রশ্ন কলেজের শিক্ষক মহলে।

২০১১ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেলেও ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এর গভর্নিং বডি যৌথ স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় নাম না থাকা এবং ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের শিক্ষক হাজিরা খাতায় নাম না সত্ত্বেও অধ্যক্ষ লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারিকরণের জন্য ।

অপরদিকে কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিও কুমার হোড়কে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে নিয়োগ দেয়া হলেও তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালের যৌথ স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় এর নাম উল্লেখ নেই।

অথচ ২৪ শে জুলাই ২০১৯ সালের প্রস্তুতকৃত শিক্ষক তালিকায় এবং কলেজের তৎকালীন সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এম ফিরোজ মাহমুদ এবং অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় ৩৮ নং সিরিয়ালে অমিও কুমার হোড় উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,২০১৬ সালের ৩০ জুন তারিখ থেকে কলেজের যাবতীয় নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অথচ কোন প্রকার বিজ্ঞাপন ছাড়াই অমিও কুমার হোড়কে কিভাবে শিক্ষক হিসেবে তালিকায় নাম দেখালেন প্রশ্ন কলেজের শিক্ষক মহলে।

২০১১ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বরে নিয়োগ পেলেও ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরে গভর্নিং বডির যৌথ স্বাক্ষরিত শিক্ষক তালিকায় নাম না থাকা প্রভাষক কিভাবে আত্তিকৃত হয়ে বিগত দুই বছরের বকেয়া বাবদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেছেন এবং আরো তিন বছরের প্রায় ৮- ৯ লক্ষ টাকার উত্তলণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। জনশ্রুতি এবং কলেজ শিক্ষক মহলে গুঞ্জন রয়েছে যে, ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় কলেজ শিক্ষক ও এলাকাবাসী জানান নিয়োগের সময় বরংগাইল বাজারের একটি দোকানের পজিশন ৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করে নিয়োগ নেন অমিও কুমার হোড়।

সাবেক কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অসিত কুমার হোড় এর ছোট ভাই হওয়ার সুবাদে খুব সহজেই প্রিন্সিপালের আস্থাভাজন ও কম্পিউটার পারদর্শিতার কারণে কম্পিউটার অপারেটর হয়ে কারিগরি সহ ডিগ্রি স্তরের যাবতীয় ভর্তি ও ফরম পূরণ সহ সমস্ত কিছু একা নিয়ন্ত্রণ করেন অমিও কুমার হোড়। ফলশ্রুতিতে, এমপিও ভুক্তির পূর্বেই বাড়িতে বিল্ডিং তৈরি করে প্রিন্সিপালের দুর্নীতির অপর হাত অমিও কুমার হোড়।

তথ্য ও অনুসন্ধান বিশ্লেষণ দেখা যায় ২০১১ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর অনার্সের শিক্ষক হিসেবে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান অমিও কুমার হোড় ।

কিন্তু অনার্সের শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির সুযোগ না থাকায় পরবর্তীতে কলেজের ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বি এম শাখায় নিয়োগ নিয়ে এমপিও ভুক্তির আবেদনও করেন এই প্রভাষক।

৩০ শে জুন ২০১৬ সালে সকল প্রকার নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা ,প্রমোশন ও আর্থিক বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া থাকলেও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ মে ২০১৮ তারিখে এমপিও ভুক্তি পাইয়ে দেন অধ্যক্ষ।

উল্লেখ্য যে, অনার্সের শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির বিধান না থাকার বিষয়ে অবগত থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতির ও জালিয়াতি মাধ্যমে অধ্যক্ষ উক্ত শিক্ষককে ডিগ্রির তৃতীয় শিক্ষক হিসেবে রেজুলেশনের মধ্য দিয়ে এমপিও ভুক্তির করানোর মতো দুর্নীতি করেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কতিপয় শিক্ষক জানান কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতার ভাই হওয়ার সুবাদে প্রিন্সিপালের আস্থাভাজন প্রভাষক অমিও কুমার হোড় দীর্ঘদিন যাবত কারিগরি বিভাগের ভর্তি সহ নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। তাছাড়াও ডিগ্রী স্তরের ভর্তি, ফরম ফিলাপ ভর্তির আবেদন সহ নানা কাজে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

শুধু তাই নয় প্রিন্সিপালের আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে কম্পিউটার ল্যাবটি পুরোটাই দখল করে দুর্নীতির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষক অমিও কুমার হোড়।

এসব বিষয়ে মহাদেবপুর ইউনিয়ন সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কলেজ সরকারী করনের আগেই এই তিনজন শিক্ষককে নিয়ম মাফিক বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর ইন্টারভিউতে যারা ভালো করেছেন তাদেরকেই নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তারা কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন কিনা তা তাদের জানার কথা নয়।

কলেজের শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণ সহ শাস্তির দাবি ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া চারজন শিক্ষকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী তথা শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।