প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ মানিকগঞ্জে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ায় মানববন্ধন

মানিকগঞ্জে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের তাকাফুল প্রকল্পের টাকার মেয়াদ ৪/৫ বছর উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ায় মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গ্রাহক আলেয়া বেগম, শাহিনুর রহমান, মো. কাদের, সুচিত্র দাস, কামাল হোসেন, মুন্নু মিয়া প্রমুখ।
এসময় ভূক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ইন্স্যুরেন্সের টাকা দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে ৪ থেকে ৫ বছর আগে। এখন পর্যন্ত সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী গ্রাহদের জমানো কোন টাকা ফেরত দেয়নি। এভাবে বছরের পর বছর অফিসে ঘুরে এর কোন প্রতিকার পাননি গ্রাহকরা।
ভূক্তভোগীরা অবিলম্বে তাদের জমাকৃত ইন্সুরেন্সের টাকা ফেরত দিতে সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর নিকট জোর দাবী জানান।
বক্তব্যে সদর উপজেলার মত্ত ডাকুয়াপাড়ার নুর আহম্মদ শিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ইন্স্যুরেন্সের টাকা দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে ৪ থেকে ৫ বছর হলো। এখন পর্যন্ত আমার একটা টাকাও দিলো না। আমি মাটি কেটে ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সে দিয়েছি। এক বেলা না খেয়ে। আমার অনেক কষ্টের টাকা। ভেবেছিলাম টাকাগুলো পেলে বাড়িতে একটা ঘর দেবো। কিন্তু তারা টাকা দিচ্ছে না।
গ্রাহক শাহিনুর রহমান বলেন, আমার ইন্স্যুরেন্সের টাকার দেওয়ার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অফিসে গেলে শুধু বলে কয়েক দিনের মধ্যে আপনাদের টাকা দিয়ে দিব। আবার চেক দিয়ে বলে ১/২ মাস পরে এই চেক ব্যংকে জামা দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিয়েন। কিছুদিন পরে বলে এই চেক দিয়ে টাকা পাবেন না। চেক আবার ফেরত নিয়ে যায়। এভাবেই ৫ বছর ধরে ঘুরছি টাকা জন্য।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ডের জিইএম (জেম) টাওয়ারের সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের তাকাফুল প্রকল্পের এডিএম অজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমার অধীনে ৩শ জন গ্রাহক রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫ জনকে চেক দেওয়া হয়েছিলে। সেই চেকগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে গ্রাহকদের নিকট হতে ফেরত নেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। কর্তৃপক্ষ চেকগুলো ফেরত নেওয়ার পরে আজ পর্যন্ত গ্রাহকদের নতুন কোনো চেক বা টাকা ফেরতের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে তিনি গ্রাহদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছেন।