প্রচ্ছদ জাতীয় নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন খাতে ন্যায্য বরাদ্দের দা‌বি

নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন খাতে ন্যায্য বরাদ্দের দা‌বি

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে আরো সামঞ্জস্যপূর্ণ ও ন্যায্য বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে ওয়াটার এইড বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, ইউনিসেফ, পিপিআরসি, ফানসা বিডি, ডব্লিউএসএসসিসিবি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স এ আহ্বান জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সকলের জন্য নিরাপদ পানি, উন্নত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করলে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের অগ্রগতি ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে।

ওয়াটার এইড ও ইউনিসেফের যৌথ সহযোগিতায় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) করা এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান জিপিডি এবং গত ৭ বছরের জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ চোখে পড়ার মতো। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৫৪ হাজার ৭০০ টাকা। গত এক বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এবং সম্প্রসারিত নগরায়নের ফলে সৃষ্ট চাহিদার তুলনায় এ বরাদ্দ অপর্যাপ্ত।

বক্তারা বলেন, ভৌগলিক অবস্থান বিচারে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াশ খাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে যে অসমতা, সেটা বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। স্থানভেদে ওয়াশ কার্যক্রমে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজমান। গ্রামাঞ্চল ও চর অঞ্চলে বাজেট বরাদ্দের তীব্র প্রয়োজনীয়তা থাকার পরও মহানগর ও শহরগুলো তুলনামূলকভাবে অধিক বরাদ্দ পাচ্ছে। যদিও বাজেটের সামগ্রিক চিত্র অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। কিন্তু তারপরও গ্রাম ও শহরাঞ্চলে অসমতার হার বিস্তার লাভ করছে, যেখানে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলে বরাদ্দ যথাক্রমে ৯০ দশমিক ৯ ও ৯ দশমিক ১ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ওয়াশ খাতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের ধরণ থেকে এটা পরিষ্কার যে, বরাদ্দকৃত অর্থও সঠিক পরিমাণে ব্যয় হয়নি।

তিনি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সেক্টর উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিনের (ওয়াশ) লক্ষ্যসমূহ অর্জনে জাতীয় বাজেটে গ্রামাঞ্চল, দুর্গম ও অবহেলিত অঞ্চলসমূহ এবং ছোট ও মাঝারি শহরগুলোর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াটার এইড বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার ফয়সাল আব্বাস, ফ্রেসওয়াশ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার পক্ষে ইয়াকুব হোসেন, ওয়াটার এইডের প্রতিনিধি সৈয়দ আদনান, নেটওয়ার্কিং সংস্থার প্রতিনিধি অলক মজুমদার প্রমুখ।