প্রচ্ছদ ধর্ম লাইলাতুল কদর চিহ্নিত করবেন যেভাবে

লাইলাতুল কদর চিহ্নিত করবেন যেভাবে

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিমান্বিত রাত কদর তালাশে রমজানের প্রতম ১০ দিন ইতেকাফে বসেন। অতঃপর দ্বিতীয় ১০ দিন ইতেকাফে বসেন। অতঃপর আল্লাহ তাআলা ওহির মাধ্যমে প্রিয়নবিকে জানিয়ে দেন, এ তাৎপর্যপূর্ণ রাত শেষ দশকের বেজোড় রাতে রয়েছে। আর তা হলো ২১, ২৩,২৫, ২৭ ও ২৯তম রাত।

যদিও ২৬ রমজান দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ তারাবিহ রাতে লাইলাতুল কদর হয়ে থাকে বলে অনেকে এ রাতে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন।

আবার অনেকে ২১ রমজানের রাতকে কুরআন নাজিলের রাত মনে করে সে রাতকেই লাইলাতুল কদর হিসেবে পালন করে থাকেন।

মূল কথা হলো-

লাইলাতুল কদর রয়েছে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। এ রাতের রয়েছে কিছু উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। যে নিদর্শনগুলো দেখে সহজেই এ পবিত্র রাতকে চিহ্নিত করা যায়। আর তাহলো-

– লাইলাতুল কদরে পৃথিবীতে অধিক সংখ্যক ফেরেশতার আসা-যাওয়ার কারণে সূর্য তাদের পাখার আড়াল পড়ে যায়। যার ফলে সে রাতে সুর্যের তাপ থাকে কম। আর রাতটি হয় আলোকোজ্জ্বল। যা সাধারণত অন্য রাতে এত বেশি আলোকিত হয় না।

– অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থানসহ প্রতিটি স্থানকেই মনে হয় যেন স্বর্গীয় আলোয় আলোকিত।
– রমজান মাসে যারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সামথ্য হয়েছে; তারা এ রাতে ফেরেশতাদের সালাম শুনতে পায়।
– এ রাতের শ্রেষ্ঠ আলামত হলো, আল্লাহ তাআলা এ রাতের বান্দার দোয়া কবুল করেন।
– এ পবিত্র রাতের শেষ ভাগে হালকা রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়।

আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি বলেন

– এ রাতের একটি বিশেষ নিদর্শন হলো- সৃষ্টি জীবের প্রতিটি বস্তুকেই সেজদারত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

এ রাতের সুস্পষ্ট নির্দশন হলো-

লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদতে মুমিন মুসলমান তাদের অন্তরে অন্যরমক প্রশান্তি লাভ করে। বিশেষ করে কুরআন তেলাওয়াতে তারা খুব আনন্দ পায়।

পরিশেষে…
রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করলে এ মর্যাদার রাতের সন্ধান পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য কোনো প্রকার নিদর্শন প্রকাশ পাওয়া আবশ্যক নয়।

লাইলাতুল কদর প্রাপ্তিতে রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি দিন ইশা এবং ফজরের নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা জরুরি। যদি কেউ ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করে তবে ওই ব্যক্তি সারা রাত জেগে ইবাদত করার সাওয়াব পাবে। আর সে রাতে যদি লাইলাতুল কদর পাওয়া যায়, তবে তাতে কদরের রাত পাওয়ার মর্যাদা লাভ হয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে লাইলাতুল কদরে যথাযথ ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। লাইলাতুল কদরে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত দান করুন। আমিন।