প্রচ্ছদ সারাদেশ রাজশাহী বিভাগ তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ উত্তরের জনজীবন

তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ উত্তরের জনজীবন

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী ও এর পার্শবর্তী অঞ্চলগুলো দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে পড়লেও কমছে না রোদের উত্তাপ। যেন তাপদাহে পুড়ছে নগরী। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভ্যাপসা গরম। বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ভ্যাপসা এই গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।

তবে রমজানের রোজা রেখেও রোদের এই উত্তাপ ও গরমকে উপেক্ষা করেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন নগরবাসী। শ্রমজীবী মানুষদেরও পেটের দায়ে বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবারও ছিলো এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গতকাল শূন্য দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে মেঘলা থাকলেও দুপুরের পর আবারো বাড়তে থাকে তাপদাহ। সূর্যের উত্তাপের তীব্রতা দেখে বুঝা যাচ্ছে, নগরীতে এ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হচ্ছে, শ্যামপুর এলাকায় আবহাওয়া অফিস অবস্থিত হওয়ায় সেখানে গাছপালা থাকায় রোদের তীব্রতা কিছুটা কম। কিন্তু শহরে মানুষজন বেশি হওয়ায় সেখানে তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। যদিও সূর্যের এই উপস্থিতিকে আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হচ্ছে মৃদু তাপদাহ। আবহাওয়া অফিসের মতে, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে বলা হয় মৃদু তাপদাহ, ৩৮ থেকে ৪০ পর্যন্ত মাঝারি তাপদাহ এবং তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে গেলে তাকে বলা হয় তীব্র তাপদাহ।

নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকার বাসিন্দা আবু রায়হান রনি জানান, এত রোদের তাপ যে মনে হচ্ছে গায়ের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। রোদের কারণে বাইরেই বের হওয়া যাচ্ছে না।

তালাইমারী এলাকার বাসিন্দা সোবহান উদ্দিন বলেন, এত রোদের তাপ মনে হচ্ছে আকাশ থেকে যেন শুধু আগুন ঢেলে পড়ছে। বাইরে তো বের হওয়া যাচ্ছে না বাসা থেকে। বাসাতে থেকেও শান্তি নাই। গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক নজরুল ইসলাম জানান, রোদের কারণে রিকশা চালাতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদে তাকে রিকশা নিয়ে বাইরে বের হতে হয়েছে। খানিকক্ষণ রিকশা চালান তারপর বিশ্রাম নেন। এইভাবেই তিনি রিকশা চালাচ্ছেন।