প্রচ্ছদ সারাদেশ রাজশাহী বিভাগ রাজশাহীতে বাজেট প্রতিক্রিয়া : সাহসী বাজেট তবে পরোক্ষ কর বেশি

রাজশাহীতে বাজেট প্রতিক্রিয়া : সাহসী বাজেট তবে পরোক্ষ কর বেশি

রাজশাহী প্রতিনিধি: এটা একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য সাহসী বাজেট। তবে এ বাজেটের সবচেয়ে বড় বিষয় পরোক্ষ কর ৬৫ শতাংশ। ভ্যাট ৩৭ শতাংশ। ট্যারিফ ৩৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। দেশ উন্নত হচ্ছে তবে এই বাজেটকে প্রগতিশীল বলা যাবে না। কারণ এর প্রভাব পড়বে দরিদ্র মানুষের ওপরে। এ বাজেটে কর্পোরেট ট্যাক্স ব্যাংক এবং বিমার ক্ষেত্রে কমানো হয়েছে প্রায় দুই শতাংশ। যা ৪২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।

শেয়ার বাজারভুক্তদের ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ট্যাক্স ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। বড় বড় ব্যাংক এবং বিমার ক্ষেত্রে কর কমানো হলেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। এখন কথা হলো বড় ব্যাংক বিমার ক্ষেত্রে কর কমানো হলে তারা কি ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কমাবে? সেটাই এখন দেখার বিষয়। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের গবেষণা সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা এমন মন্তব্য করেন।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে উচ্চভিলাসী বলা হলেও বাস্তাবায়নই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয়। সরকারের যে দফতরগুলো রয়েছে সেগুলো যদি নিয়মিত দেখাশোনা করেন তা হলে এ বাজেট বাস্তাবায়ন করা সুবিধা হবে বলে মনে করেন তিনি। চেম্বারের সহ-সভাপতি মাসুদুল হক টিংকু বলেন, ১৫ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বেসরকারি খাতকে সচল অবস্থায় নেয়ার জন্য। তা শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক না হয়ে সারাদেশের সবাই যাতে পায় তা দেখা উচিত। তা সবসময় মাঠ পর্যায় থেকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত বলে মনে করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এই নেতা।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এনকে নোমান বলেন, ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৫ ভাগ এবং মূল বাজেটের চেয়ে ১৬ ভাগ বড়। বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন যে গতি, তাতে নিশ্চিতভাবেই আগামী বছরই এই রেকর্ড ভেঙে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন দারুণ গতিশীল। এখন আর ঢালাও প্রতিবাদের সেই সংস্কৃতি নেই, সেই সুযোগও নেই। রাজপথ থেকে প্রতিবাদ এখন ভার্চুয়াল জগতে চলে এসেছে। মূল প্রতিবাদটা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এরপর তার ঢেউ লাগে গণমাধ্যমে। তবে নিজের শেষ এবং নির্বাচনের বছরের বাজেট হওয়ায় অর্থমন্ত্রী এবার খুব সতর্ক ছিলেন। কোনও ঝুঁকি নেননি, হেঁটেছেন গতানুগতিক পথে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ঢালাও সমালোচনার সুযোগ কম। গত অর্থবছরের বাজেট পেশ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে আবগারি শুল্ক আর ভ্যাট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। অর্থমন্ত্রীকে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয়েছিল। এবার সাবধানী অর্থমন্ত্রী তেমন কোনও পচা শামুক রাখেননি।