প্রচ্ছদ জাতীয় জাতীয় পাটনীতি ২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন

জাতীয় পাটনীতি ২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন

পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, মানসম্মত পাট উৎপাদন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্ব দিয়ে ‘জাতীয় পাটনীতি-২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সোনালি আঁশ পাটের হারানো দিন ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। পাট ও পাটপণ্যের বাজার তৈরিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ছয় বছর পর পাটনীতি সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

পাটনীতির খসড়া এ খাতে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাবসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার বাড়ানোকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে এক সময়ের প্রধান এ অর্থকরী ফসলের ভূমিকা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় পাটপণ্য বহুমুখীকরণ, এ খাতের উন্নয়নে সরকারি প্রণোদনা প্রদান, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, পাটকলের আধুনিকায়ন ও একটি ইনস্টিটিউট স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি কার্যকরে পাটনীতি বাস্তবায়ন সেল গঠনের প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুমোদিত পাটনীতির খসড়ায় প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে মানসম্মত পাট উৎপাদনের উচ্চ ফলনশীল জাতের পাটবীজ, সার, কীটনাশক ও অন্যান্য সহায়ক উপকরণ সরাসরি মাঠপর্যায়ে কৃষকের হাতে পৌঁছানো এবং আধুনিক ও উচ্চফলনশীল পাট চাষ অনুসরণসহ একাধিক প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি পাটচাষীর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণার মাধ্যমে চাহিদা নিরূপণ এবং মৌসুমের শুরুতেই পাটের যৌক্তিক ও ন্যূনতম মূল্য ঘোষণা করাসহ চারটি প্রস্তাব করা হয়েছে। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণে নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা, প্রচলিত পণ্যের অধিকতর উন্নয়ন করাসহ ছয়টি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত নীতিতে পাটকলের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে পাটকলগুলোকে সক্ষম করে তোলা, সরকারি পাটকলের উৎপাদন ব্যয় কমানোর মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে লাভজনক করা, মিলপর্যায়ে উৎপাদন এবং আয়-ব্যয়ের জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

পাটের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে খসড়ায় বলা হয়, পরিবেশবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রচারণা ও নতুন বাজার অনুসন্ধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশ্ববাজার পরিস্থিতির ওপর গবেষণায় জোর দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। নীতিতে সরকারি-বেসরকারি কারখানার উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে দক্ষতা বাড়াতে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ এবং একটি কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন ২০১৮ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।