প্রচ্ছদ আইন আদালত কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন

কুমিল্লার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন

কুমিল্লার একটি নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন। তবে একই দিন আদেশের জন্য রাখা নড়াইলের মানহানির মামলাটির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার সকালে বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একটানা চার কার্যদিবস শুনানি শেষে গতকাল রোববার হাইকোর্ট আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুমিল্লার দুটি মামলায় (হত্যা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে) খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে নড়াইলের মামলার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ওই মামলাটি বিচারিক আদালতের (নিম্ন আদালতের) আইনি প্রক্রিয়া শেষ না করেই উচ্চ আদালতে এসেছে। ফলে জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে তা খারিজ করার কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন, কুমিল্লায় দুটি নাশকতার ঘটনায় খালেদা জিয়াকে তিনটি মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরক মামলা। আজ কুমিল্লার একটি নাশকতা ও একটি বিস্ফোরক মামলায় খালেদা জিয়া ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন।

কুমিল্লার বাকি আরেকটি মামলায় আজ জামিন আবেদন করা হয়েছে বলে জানালেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এদিকে, ঢাকার মানহানি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় জামিনের জন্য আবেদন করেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের দুটি পৃথক অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। এ দুটি মামলায়ও এ সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাননি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাঁদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।

রায়ের পর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়েছে।