গত এক দশক ধরে বদিকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সরকারী সকল সংস্থার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা। সরকারী সকল সংস্থাও গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়েছে এমপি বদির বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালে সরকারি এক তালিকায় বদির নাম উঠে আসে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ওই তালিকায় বলা হয়েছে,আব্দুর রহমান বদির ছত্রছায়ায় আরো অনেকে ইয়াবা ব্যবসা করছেন।
ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে নিজে ও পরিবারের অন্য সদস্য জড়িত নয় বলে বারবার দাবি করেছেন ইয়াবা নিয়ে বহুল আলোচিত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। এই নিয়ে দেশবাসীর প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।
বদি বলেছেন, দেশের যেকোন নাগরিক, সাংবাদিক বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য যদি তার (এমপি বদির) ইয়াবা ব্যবসা বা ব্যবসায়ীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা দেখাতে পারে তাহলে যেকোন ধরনের শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত আছেন।
তিনি জীবনেও ধূমপান ও মাদক গ্রহণ করেননি। তার শরীরে কোনো ধরনের অবৈধ আয়ের ছোঁয়া লাগে না বলেও দাবি করেন তিনি। এটি তার ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার ষড়যন্ত্র।
মাদক ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারে দেওয়ার পক্ষে বলে নিজের মত জানিয়ে এই আলোচিত সংসদ বলেন, ক্রসফায়ার আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের সবারই সহযোগিতা করা প্রয়োজন। যুব সমাজকে বাঁচাতে এটা অপরিহার্য।
এদিকে মাদক নির্মূলের নামে বন্দুকযুদ্ধে নির্বিচারে হত্যার কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা কারা আমরা জানি না। মাদক সম্রাট তো সংসদেই আছে। তাদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলান।