প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক ট্রাম্পের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিলেন খাশোগির বাগদত্তা

ট্রাম্পের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিলেন খাশোগির বাগদত্তা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেনগিজ।

কারণ হিসেবে তিনি অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে যথেষ্ট আন্তরিক নন।

তুর্কি গণমাধ্যম হাবেরতুর্ক টিভি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাতিস বলেন, তার মতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের এই আমন্ত্রণ আমেরিকান জনমতকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যার বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট কোনো অবস্থান এখনো দেখাননি। বরং তার আচরণে মনে হচ্ছে, দু’কূল রক্ষার চেষ্টা করছেন তিনি।

ইতোমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি সরকারের দেয়া বিবৃতিতে তিনি ‘সন্তুষ্ট নন’। একদিকে তিনি দেশটির ওপর নানারকম অবরোধ আরোপের সম্ভাবনার কথা বলছেন, অন্যদিকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোরও দিচ্ছেন।

সৌদি আরব যে দেশগুলো থেকে অস্ত্র আমদানি করে তার মধ্যে বিপুল ব্যবধানে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্প আবার এটাও বলেছেন, হতে পারে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খাশোগি হত্যার বিষয়ে সত্যিই জানতেন না।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র আনতে গিয়ে গত ২ অক্টোবর নিরুদ্দেশ হন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি। ওই সময়ই তুরস্ক দাবি করেছিল কনস্যুলেটের ভেতর খুন করা হয়েছে তাকে।

শুক্রবার হাবেরতুর্ক টিভিতে সাক্ষাৎকারে অশ্রুসজল হাতিস খাশোগির নিরুদ্দেশ হওয়ার দিনটির কথা মনে করে বলেন, ‘যদি বুঝতাম সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র আঁটতে পারে, তাহলে ওকে কখনোই আমি কনস্যুলেটে ঢুকতে দিতাম না।’

‘আমার দাবি, সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ের যারাই এই বর্বরতায় জড়িত তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক,’ বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক পরিচিতি সম্পন্ন সাংবাদিক জামাল খাশোগি ছিলেন সৌদি রাজতন্ত্রের একজন কট্টর সমালোচক।

সৌদি আরব প্রথম প্রথম হত্যার কথা অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে তাদের দাবি ছিল, জিজ্ঞাসাবাদ ভুল দিকে চলে গিয়ে ‘দুর্ঘটনাবশত’ নিহত হন খাশোগি।

খাশোগিকে গুম করে হত্যা করার বিষয়ে যুবরাজ মোহাম্মদের অনুমতি ছিল – আন্তর্জাতিক মহলে এমন সন্দেহ প্রকাশ পেতে থাকলে পরে আবার সৌদি কর্মকর্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডটি সৌদি প্রশাসনের কয়েকজন ‘বিপথগামী এজেন্টে’র কাজ এবং রাজপরিবারের এখানে কোনো সংশ্লিষ্টতাই নেই।

সৌদি আরব বরাবরই খাশোগির বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই না জানার দাবি করে আসছিল। কিন্তু এখন দেশটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীই বলছেন, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।