প্রচ্ছদ জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে পল্লী অর্থনীতি চাঙা হচ্ছে

দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে পল্লী অর্থনীতি চাঙা হচ্ছে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের দারিদ্র্যের হার ২০৩০ সালের পূর্বেই শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। দারিদ্র্যের হার হ্রাসে পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করতে হবে। পল্লী অর্থনীতিকে চাঙা করলে দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতা আসবে।

বৃহস্পতিবার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) ৪৯ তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।

মন্ত্রী বলেন, একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ জরিপের মাধ্যমে সমগ্র দেশের দারিদ্র্যের ম্যাপ তৈরি করে বিআরডিবিকে কাজ করতে হবে। দরিদ্র এলাকার প্রতিটি পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে ঋণ সহায়তা ও পরামর্শ দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি সে কাজে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চলমান দ্বিস্তর বিশিষ্ট সমবায়ীদের শামিল করতে হবে।

তিনি বলনে, পল্লী অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙা করতে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পল্লী উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে নবজাগরণ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের পল্লী অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, দেশের পল্লীবাসীর জীবন মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বিআরডিবির কার্যক্রম যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে। এতে করে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে রূপান্তর সহজতর হবে।