প্রচ্ছদ জাতীয় নামে-বেনামে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ ব্যবসায়ী আটক

নামে-বেনামে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ ব্যবসায়ী আটক

বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এসএ গ্রুপের কর্ণধার শাহাবুদ্দিন আলম। গতকাল রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় ব্যাংক এশিয়ার করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান।
জানা গেছে, চট্টগ্রামভিত্তিক এই ব্যবসায়ী গ্রুপটির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এলসি জালিয়াতি, ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। শাহাবুদ্দিন আলম নিজেই এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছিল না। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার কাগজপত্র জাল করে ভুয়া এলসির মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ব্যাংকের মামলাও রয়েছে। পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এত বড় ঋণ জালিয়াতির এই হোতা আরেকটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার মোট ঋণের পরিমাণ তিন হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সিডিএ এভিনিউ শাখা থেকে তার নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৭০৯ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৯৪০ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩৬ কোটি ১১ লাখ ৪১ হাজার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৭০১ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার, পূবালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার, কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখা থেকে ১৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার, অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট শাখা থেকে ৫৪৮ কোটি ৪৪ লাখ, জনতা ব্যাংক শেখ মুজিব রোড করপোরেট শাখা থেকে ১১৮ কোটি ২২ লাখ ৭১ হাজার ও প্রাইম ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। নিজের গ্রুপের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে এসব জালিয়াতি করেছেন শাহাবুদ্দিন আলম। তার মালিকানাধীন এসএ গ্রুপের অধীনে তেল পরিশোধন, খাদ্যপণ্য, দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য, পানীয়, সিমেন্ট, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।