প্রচ্ছদ আজকের সেরা সংবাদ মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রকাশ না করলে উদ্বেগের কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

মিথ্যা তথ্যে সংবাদ প্রকাশ না করলে উদ্বেগের কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

কোনো সাংবাদিকের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা না থাকলে, তাঁর মন অপরাধপ্রবণ না হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এটি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নাই। এ আইন আগে ছিল। এখন শুধু ডিজিটাল ডিভাইসের বিষয়ে একটু নতুনত্ব আনা হয়েছে। উদ্বিগ্ন তারাই হবে যারা আমাদের ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে রেডি হয়ে আছে। এরই মধ্যে অনেকে লিখেছে, প্রকাশ করছে। অনেকে রেডি করে রাখছে, নির্বাচন এগিয়ে এলে ছাড়বে।’

আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক জ. ই মামুনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এখানে স্পষ্ট বলব, যেসব সাংবাদিকরা মনে করেন তাঁরা কোনো মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবে না, কারো সম্মান নষ্ট করবে না। এটি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কোনো কারণ নাই। এ আইন আগে ছিল, এখন শুধু ডিজিটাল ডিভাইসের বিষয়ে একটু নতুনত্ব আনা হয়েছে। এটি সারা বিশ্বে আছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এটা নিয়ে তাদের ভয় থাকবে যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অন্যের সম্মান নষ্ট করবে, মিথ্যা তথ্য প্রচার করবে। যারা অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে। তার ফলে যে পরিবার, সমাজ, সবার কাছে হেয় হলো সেই ক্ষতিপূরণ কে দিবে? আমি বুঝলাম সাংবাদিকরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমাদের উদ্বেগটা কে দেখবে? এটা তো অনলাইনে ছিল। সবার সাথে আলোচনা করে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন দেখে তারপর এটি পাস করা হয়েছে। কই তখন তো উদ্বিগ্ন হয়নি কেউ। এখন এতো উদ্বিগ্ন কেন? আপনাদের যাদের মিটিং (সম্পাদক পরিষদের বৈঠক) করতে দেখলাম তারা তো উদ্বিগ্ন হবেই। কারণ তারাতো আমার বিরুদ্ধে লিখার জন্য বসে আছে সব রেডি করে। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই।’

জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান এবং সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে আজ বিকেল ৪টার দিকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। সপ্তাহব্যাপী সেখানে অবস্থান করে ১ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেন। তাঁর ভাষণে চলমান রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যকার চুক্তির বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন। পাশাপাশি নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

এ ছাড়া জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এজেন্সির প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এসব আলোচনায় অন্যতম বিষয় ছিল রোহিঙ্গা সংকট।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্টারপ্রেস সার্ভিসেস নিউজ এজেন্সির ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের ২০১৮ সালের ‘আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আজকের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেই সব বিষয় তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।